৭ ডিসেম্বর, ২০১৬ ১৬:২০

মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাট, ৬ পাইলট বরখাস্ত

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাট, ৬ পাইলট বরখাস্ত

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জির বিমান বিভ্রাট ইস্যুতে মমতাকে বহনকারী ইন্ডিগোর ৬ই৩৪২ বিমানের দুই পাইলটকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে ওইদিন জ্বালানি কম থাকার কথা বলে জরুরি অবতরণের অনুমতি চাওয়ায় স্পাইস জেট ও এয়ার ইন্ডিয়ার চারজন পাইলটকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 

সূত্রে খবর, মঙ্গলবারই ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)-এর তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই ছয় পাইলটকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে ডিজিসিএ’এর তরফে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা কাজে যোগ দিতে পারবেন না বলেও জানা গেছে। প্রাথমিক তদন্ত অনুমান বিমান তিনটিতে কম জ্বালানি ছিল না তবু বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে কম জ্বালানি রয়েছে বলে বিভ্রান্ত করা হয়েছিল। তার জেরেই সমস্যা তৈরি হয়। 

উল্লেখ্য, নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত ৩০ নভেম্বর পাটনায় একটি সভা শেষ করে রাতের বিমানে কলকাতায় ফিরছিলেন মমতা ব্যানার্জি। রাত ৮টা নাগাদ কলকাতার নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা থাকলেও প্রায় ৪০ মিনিট আকাশে চক্কর কাটার পর বিমানটি অবতরণের অনুমতি পায়।
 
জানা যায়, পাটনা থেকে ইন্ডিগোর যে বিমানে করে মমতা কলকাতায় আসছিলেন, তার আগে আরও কয়েকটি বিমান কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণের জন্য অপেক্ষা করছিল, এর মধ্যে স্পাইসজেট ও এয়ার ইন্ডিয়ার দুইটি বিমানেও জ্বালানি কম ছিল। মমতাকে বহনকারী ইন্ডিগো বিমানের পাইলট কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-কে বিমানে জ্বালানি ফুরিয়ে আসার কথা জানান। এরপরেই স্পাইস জেট, এয়ার ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিগো বিমানে জ্বালানি কম থাকায় এই তিনটি বিমানকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে অবতরণের সুযোগ করে দেওয়া হয়। 

এই ঘটনায় যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা। তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে বলেও নিজের ঘনিষ্ঠ মহলে অভিযোগ করেন মমতা। বিষয়টি নিয়ে সংসদেও সরব হয় তৃণমূল, পাশে পেয়ে যায় কংগ্রেস বিএসপিসহ অন্যান্য বিরোধীদলগুলিকে। এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাতে থাকে তারা। যদিও এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া’-এর তরফে চক্রান্তের অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়। ইন্ডোগোর তরফে জানানো হয় জ্বালানি কম থাকা কিংবা জরুরি অবতরণের কথা ঘোষণা করা হয়নি। এটিএস ও পাইলটের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাপড়া তৈরি হওয়ার কারণেই সমস্যা হয়েছিল। পরে দেশটির অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তরফেও বিষয়টিকে তদন্ত করে দেখতে ডিজিসিএ-কে নির্দেশ দেয়। 


বিডি-প্রতিদিন/ ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর