১৭ এপ্রিল, ২০১৭ ২২:১৩

কলকাতায় মুজিবনগর দিবস উদযাপন

দীপক দেবনাথ, কলকাতা:

কলকাতায় মুজিবনগর দিবস উদযাপন

যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণের দিন ‘মুজিবনগর দিবস’ পালন করল কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন।

এ উপলক্ষে সোমবার সন্ধ্যায় কলকাতার শেক্সপিয়ার স্মরণিতে অবস্থিত অরবিন্দ ভবনে এই দিবসটির তাৎপর্যতা নিয়ে আলোচনা সভার পাশাপাশি একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনার জকি আহাদের সভাপতিত্বে আলোচনা পর্ব শুরু হয়। এই অনুষ্ঠানে আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক স্বাধীনতা সম্মাননা পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত ও ভারতের সরকারি গণমাধ্যম দুরদর্শনের বিশিষ্ট সাংবাদিক ভবেশ দাস প্রমুখ।

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য ব্যখ্যা করতে গিয়ে জকি আহাদ বলেন ‘১৭ এপ্রিল একটি অবিস্মরণীয় দিন। বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে। বন্ধবন্ধু না থাকলে আজ আমরা বাংলাদেশ পেতাম না। জাতির পিতা সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবের পথে এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বজনমত সৃষ্টি, মুক্তিযোদ্ধাদের সুসংগটিত করে যুদ্ধ সুচারুভাবে পরিাচলনা করা এবং শরণার্থীদের আশ্রয়ের ব্যবস্থাসহ সকলক্ষেত্রে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখার জন্য বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ছিল অপরিসীম’।

সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত বলেন ‘বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশন ঐতিহাসিক মুজিবগনগর দিবস পালন করছে দেখে আমি মুগ্ধ। এই মুজিবনগর সরকার কিভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিল তা আমরা নিজের চোখে দেখেছি। মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্যমতা দেখে তখনই বুঝেছিলাম বাংলাদেশ একদিন উন্নয়নের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাবে। আজ বাংলাদেশ সেই পথেই এগোচ্ছে’।

উল্লেখ্য মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রাম চলাকালীন ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকারের শপথ ও সালাম গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়। শপথ অনুষ্ঠানেই পাঠ করা হয় স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। একই সঙ্গে মেহেরপুরের এই বৈদ্যনাথতলা গ্রামটির নামকরণ করা হয় মুজিবনগর।

বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর