১৭ এপ্রিল, ২০১৭ ২৩:১১

নারদ মামলায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর, বিপাকে তৃণমূল

দীপক দেবনাথ, কলকাতা:

নারদ মামলায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর, বিপাকে তৃণমূল

নারদ স্টিং অপারেশনের ঘটনায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করল ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সোমবারই তাদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং দুর্নীতি দমন আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পাশাপশি একটি বিশেষ দল গঠন করে নারদ নিয়ে তদন্ত করা হবে বলেও জানিয়েছে সিবিআই।

এই ১৩ জনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ, বিধায়ক, সাবেক মন্ত্রী ও একজন পুলিশ কর্তার নাম রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
নারদ স্টিং অপারেশনে ব্যবহৃত গোটা ভিডিও এবং অডিও খতিয়ে দেখার পরই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে খবর। সিবিআই-এর কেন্দ্রীয় দলই ওই তদন্ত করবে এবং কোন ভাবেই কলকাতায় ওই তদন্ত হবে না বলেও জানা গেছে। দীর্ঘ একমাস ধরে তদন্ত করে যে সমস্ত তথ্য উঠে এসেছে, তার প্রেক্ষিতেই ওই ১৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কী কারণে ওই ১৩ জনকে রুপি নিতে দেখা যায়, সে বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আর অভিযোগ প্রমাণিত হলে, তাদের সকলের বিরুদ্ধেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানা গেছে।
সিবিআই-এর সিদ্ধান্তে খুশি নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েল জানান অবশেষে তদন্ত সঠিক পথে এগোচ্ছে।
অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জানান ‘এফআইআর দায়ের হলেই দোষ প্রমাণ হয়ে যায় না। এটা রাজনৈতিক খেলা। রাজনৈতিক ভাবেই আমরা এর মোকাবিলা করবো’।
গত ১৭ মার্চ নারদ মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই প্রকাশ্যে আসে নারদা স্টিং অপারেশনের ভিডিওটি। ওই ভিডিওতে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সৌগত রায়, মুকুল রায়, অপরূপা পোদ্দার, সুলতান আহমেদ, প্রসূণ ব্যানার্জি, পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পরিবেশ মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি, সাবেক মন্ত্রী মদন মিত্র, বিধায়ক ইকবাল আহমেদ সহ শাসকদলের একাধিক নেতা-বিধায়ক-সাংসদ-মন্ত্রীদের ঘুষের রুপি নিতে দেখা যায় বলে অভিযোগ। এই মামলায় নাম জড়ায় বর্ধমানের তৎকালীন পুলিশ সুপার (আইপিএস কর্মকর্তা) সৈয়দ হুসেন মহম্মদ মির্জাকেও। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই দেশীয় রাজনীতিতে প্রবল সোরগোল পড়ে যায়। নির্বাচনের ঠিক আগে এই ভিডিও সামনে আসায় যথেষ্ট বিড়ম্বনার মধ্যে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেসও।

বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর