২৩ মে, ২০১৭ ২২:১৮

রমজানে পেট্রাপোল-বেনাপোল দিয়ে পণ্য পরিবহন বৃদ্ধির উদ্যোগ

দীপক দেবনাথ, কলকাতা


রমজানে পেট্রাপোল-বেনাপোল দিয়ে পণ্য পরিবহন বৃদ্ধির উদ্যোগ

আসন্ন পবিত্র রমজান মাসেও বাংলাদেশের পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য পরিবহনের গতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে ভারত। এমনিতে রমজান মাসে ভারত থেকে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম পণ্য পরিবহন হয়ে থাকে বাংলাদেশে। কিন্তু চলতি বছরে যাতে সেই ঘাটতি না হয় সেব্যাপারেই ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আর্জি জানানো হয় বাংলাদেশের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দরে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেন দুই দেশের সরকারি কর্মকর্তারা। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন বেনাপোল স্থলবন্দর কমিটির উপ সহপরিচালক রুহুল আমিন। অন্যদিকে ভারতের পক্ষে ছিলেন পেট্রাপোল বন্দরের কাস্টমসের ডিসি রাহুল মাহাতো’র নেতৃত্বাধীন এক প্রতিনিধি দল। বৈঠকে পেট্রাপোল-বেনাপোল আমদানি-রফতানি সংগঠনের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। 

বৈঠক শেষে পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়ার্ড অ্যাসোশিয়েশনের কর্মকর্তা কার্তিক চক্রবর্তী জানান, ‘ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে স্থলপথে, জলপথে এবং বিমানপথে যত পণ্য আমদানি-রফতানি হয় তার প্রায় ৭০ শতাংশ পণ্যই এই স্থলবন্দর দিয়ে হয়ে থাকে। দুই দেশেরই বড় পণ্য প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির পণ্য এই স্থলবন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি হয়ে থাকে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে পেট্রাপোল স্থলবন্দরে অবকাঠামো কিছু সমস্যার কারণে ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য রফতানির পরিমাণ অনেক কমে গেছে। তার ওপর সামনে রমজান মাস থাকাকালীন সময়ে ভারত থেকে পণ্য রফতানির পরিমাণ আরও কমে যাবে। সেক্ষেত্রে আমরা বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে আমাদের উদ্বেগের কথা জানাই এবং এই সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি’।  

বাংলাদেশে পণ্য রফতানি কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে এদিন বেশ কয়েকটি সমস্যার কথা তুলে ধরেন বৈঠকে উপস্থিত ভারতীয় আমদানি-রফতানি কর্মকর্তারা। তাদের অভিমত, বেনাপোল স্থলবন্দরে পণ্য পরিবহন অবকাঠামোর অবস্থা ভালো নয়। তাছাড়া সেখানে পণ্য আমদানি-রফতানিকারকদের নিরাপত্তা নিয়েও বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। সর্বোপরি বেনাপোলে যানজট সমস্যাও একটা বড় সমস্যা। যদিও এই সব সমস্যা মেটানোর ব্যাপারে বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকেও দ্রুত আশ্বাস দেওয়া হয়। অন্য সময় এই সীমান্ত দিয়ে দৈনিক প্রায় দুই শতাধিকের বেশি পণ্যবাহী ট্রাক যাতায়াত করে, কিন্তু রমজানে যাতে সেই পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা আরও বাড়ানো যায় সেই ব্যাপারে দুই দেশের বন্দর কর্তৃপক্ষ নজর দেবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

বাংলাদেশের বেনাপোল বন্দর কমিটির সহ পরিচালক রুহুল আমিন জানান, ‘দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়েছে। আসন্ন রমজানে দুই দেশের বাণিজ্যে যাতে গতি আনা যায় সেই ব্যাপারে অবশ্যই বাড়তি উদ্যোগ নেওয়া হবে’। 

বিডি-প্রতিদিন/২৩ মে, ২০১৭/মাহবুব

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর