শিরোনাম
২৭ মে, ২০১৭ ২২:৩৬

সোনিয়ার ভোজে রুচি নেই! মোদির ভোজে হাজির নীতীশ

দীপক দেবনাথ, কলকাতা:

সোনিয়ার ভোজে রুচি নেই! মোদির ভোজে হাজির নীতীশ

ভারতের কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়ার আমন্ত্রণ ফেরানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া মধ্যাহ্ন ভোজে হাজির হলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ও জনতা দল ইউনাইটেড নেতা নীতীশ কুমার। এদিন ভারত সফররত মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ জুগনাউথ’এর সম্মানে ৭ লোক কল্যাণ মার্গে মধাহ্নভোজ দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। সেই নীতীশ কুমারই শনিবার হাজির হলেন মোদির দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে। এদিন দিল্লিতে এসে মোদির সঙ্গে হাত মেলালেন, ক্যামেরার সামজে পোজ দিলেন, জমিয়ে আড্ডাও দিলেন। 

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সর্বসম্মত প্রার্থী বাছাই করতে গতকাল শুক্রবারই সব বিরোধী দলগুলিকে মধ্যাহ্নভোজেনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সোনিয়া। তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা ব্যানার্জি থেকে শুরু করে সিপিআইএম'র সীতারাম ইয়েচুরি, আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদব, সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব, বহুজন সমাজ পার্টি নেত্রী মায়াবতী সহ ১৭ টি রাজনেতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন কিন্তু আমন্ত্রণ পেয়েও সেখানে ছিলেন না জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি বিরোধী জোট গড়তে অন্যতম উদ্যোগী ভূমিকা নেওয়া নীতিশ কুমার। তাঁর এই অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনাও কম হয়নি। 

যদিও মোদির সঙ্গে বৈঠকে রাজনীতি নিয়ে কোন কথা হয় নি বলে জানান নীতিশ কুমার। তিনি জানান ‘গঙ্গায় পলি জমে সমস্যা বড় আকার ধারন করেছে। বন্যার সময় পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। আমি চেয়েছিলাম মোদির সঙ্গে আলাদা করে দেখা করে এই বিষয়গুলি জানাবো। এর পাশাপাশি রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়েও কথা হয়েছে’। 

অন্যদিকে সোনিয়ার দেওয়া লাঞ্চে অনুপস্থিতি নিয়ে নীতিশ জানান ‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও বিরোধীদের ঐক্যমত নিয়ে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে আগেই কথা হয়েছিল’।  
নীতীশ কুমারের সঙ্গে এই বৈঠকের মোদিও থেমে থাকেন নি। বিরোধী জোটে ভাঙন ধরাতে নীতীশ-মোদীর ‘হ্যান্ডশেক’ এর ছবি গুরুত্ব দিয়ে ট্যুইটও করেন প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়।
 
সাম্প্রতিকালে নীতীশ-মোদীর সম্পর্কে নতুন বাঁক নিয়েছে। নোট বাতিলের পর মোদীর প্রশংসা করেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। পরেও প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন মোদিকে। দিন কয়েক আগে তো মোদিকে দেশের জনপ্রিয় নেতাও বলেও আখ্যায়িত করেছিলেন নীতিশ কুমার। তারপরই মোদির সঙ্গে এই সাক্ষাত। তাছাড়া বিহারে জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) জোট সরকার চলছে। সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকটি ঘটনায় জোটের মধ্যে মনমালিন্য শুরু হয়েছে। নীতীশের কাঁধে বন্দুক রেখে প্রশাসনে ছড়ি ঘোরাচ্ছে লালুর পরিবার। পাশাপাশি লালু ও তাঁর মেয়ে মিসা ভারতীর বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্বচ্ছ ইমেজের নীতীশের কাছে এই ঘটনা যথেষ্ট বিড়ম্বনার। 

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর