শিরোনাম
৩ জুলাই, ২০১৭ ১২:৫৯

ভুয়া প্রশংসাপত্র দেখিয়ে ভারতের সরকারি চাকরিতে বাংলাদেশি, অতঃপর...

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

ভুয়া প্রশংসাপত্র দেখিয়ে ভারতের সরকারি চাকরিতে বাংলাদেশি, অতঃপর...

ভুয়া শংসাপত্র জোগাড় করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক বাংলাদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি সামনে আসতেই এবার তদন্তে নামল ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। 

কেন্দ্রীয় সরকারের ‘আয়ুশ’ মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বশাসিত একটি সংস্থা হল ন্যাশনাল ইন্সিটিউট অফ হোমিওপ্যাথি(এনআইএইচ)। অভিযোগ, ভুয়া প্রশংসাপত্র দেখিয়ে গত তিন দশক ধরে এই সংস্থাতেই কাজ করছিলেন শ্যামলেন্দু ভৌমিক নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিক।
সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স কমিশনার কে ভি চৌধুরী’এর কাছে এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ জমা পড়তেই বিষয়টি সামনে আসে। 

বাংলাদেশি নাগরিক শ্যামলেন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য কোনো আবেদন জানাননি। বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে ১৯৮৩ সালের ১৯ জানুয়ারি কলকাতায় অবস্থিত হেলথ অ্যান্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার’এর আঞ্চলিক কার্যালয়ে নিয়োগ পান শ্যামলেন্দু। সেখানে তাঁর স্থায়ী ঠিকানা হিসাবে কলকাতাকেই দেখানো হয়। এমনকি ওই চাকরি নিশ্চিত করতে কলকাতার আলিপুরে অবস্থিত দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার জেলা প্রশাসকের দফতর থেকে একটি নো অবজেকশন সার্টিফিকেটও জোগাড় করে তা দাখিল করেন শ্যামলেন্দু।

এরপর মাত্র চার বছরের মাথায় ১৯৮৭ সালের ২৯ এপ্রিল শ্যামলেন্দু ভৌমিক ন্যাশনাল ইন্সিটিউট অফ হোমিওপ্যাথিতে জুনিয়ার অ্যাকাউন্টটেন্ট হিসাবে নিয়োগপত্র পান বলে অভিযোগ। এবং ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

তদন্তে দেখা গেছে, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানের (বিএসসি) ছাত্র শ্যামলেন্দু এনআইএইচ’এ নিয়োগ পান শুধুমাত্র ওই সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সম্মতিতেই। 

সিবিআই’এর কাছে পাঠানো তদন্ত কমিটির যে রিপোর্ট জমা পড়েছে তাতে দেখা গেছে যে ‘শ্যামলেন্দুর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগই সঠিক বলে প্রমাণিত হয়েছে’।

এই অবস্থায় ওই বাংলাদেশি নাগরিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তিনি যেন তার কর্মস্থল থেকে দূরে থাকেন। একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার জন্য অফিসের বহু বিশ্বস্ত ও গোপন নথি তার নখদর্পনে, ফলে ওই সমস্ত অফিসিয়াল রেকর্ড তিনি যাতে কোনমতেই বিকৃত করতে না পারেন সেই কারণেই তাঁকে কর্মস্থল থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গোটা বিষয়টি এখন সিবিআই’এর তদন্তাধীন। ভারতের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে বাংলাদেশি নাগরিকের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো বড় চক্র কাজ করছে কি না সেটাই এখন খতিয়ে দেখছে সিবিআই। গত শুক্রবারই ওই বাংলাদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে নাগরিকত্ব আইন, ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং প্রিভেনশন অফ কোরাপশন আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।


বিডি-প্রতিদিন/০৩ জুলাই, ২০১৭/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর