১৪ নভেম্বর, ২০১৭ ০২:৪৪

ধর্ষণ এড়াতে চলন্ত ট্রেন থেকে মা-মেয়ের ঝাঁপ

অনলাইন ডেস্ক

ধর্ষণ এড়াতে চলন্ত ট্রেন থেকে মা-মেয়ের ঝাঁপ

প্রতীকী ছবি

বাঁচতে চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিলেন মেয়ে ও মা। ধর্ষকদের কবল থেকে বাঁচতে এছাড়া তাদের কাছে অন্য কোন পথ ছিল না। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া-যোধপুর এক্সপ্রেসে, কানপুর স্টেশনের কাছে। কলকাতার বাসিন্দা মা ও মেয়ে দু’‌জনেই আপাতত সুস্থ আছে বলে জানা গেছে।। 

নির্যাতিতা সেই মা জানান, শনিবার হাওড়া-যোধপুর এক্সপ্রেসে হাওড়া থেকে দিল্লি যাচ্ছিলেন তাঁরা। অসংরক্ষিত কামরায় ১৫ বছরের কিশোরী মেয়েকে নিয়ে উঠেছিলেন বছর ৪০ বছর বয়সী সেই মা। দিল্লিতে একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত স্বামীর কাছে যাচ্ছিলেন তারা। 

তিনি আরও বলেন, ট্রেন হাওড়া ছাড়ার পর থেকেই তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে ১০-‌১৫ জন যুবক। বিষয়টি দু’‌বার ট্রেনে থাকা আরপিএফ কর্মীদের জানিয়েছিলেন। প্রথমবার এলাহাবাদের আগে এবং পরের বার এলাহাবাদ পেরোনোর পর। এরপর এক কনস্টেবল সেই দলের ৩ জনকে ধরে নিয়েও যায়। কিন্তু আধঘণ্টার মাথায় ফিরে আসে ওরা। সম্ভবত পুলিসকে ঘুষ দিয়েই ছাড়া পায়। 

নির্যাতনের শিকার সেই কিশোরি বলেন, এলাহাবাদ ছাড়ার পরেই যুবকরা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। কিশোরীকে অপহরণ করে বিক্রি করে দেওয়ার হুমকিও দেয়।‌ রাত ১০টা নাগাদ মেয়েটি শৌচালয় যাওয়ার পথে তার পিছু ধাওয়া করে ৪-‌৫ জন। তার পোশাক ছিঁড়ে দেয়।‌ মেয়ের আর্তনাদ শুনে ছুটে যান মা। যুবকদের সঙ্গে হাতাহাতি বাধে। দলে ওরা বেশি থাকায় আর প্রতিরোধ করতে পারেননি তিনি। কানপুর থেকে চান্দেরি স্টেশনের মাঝে মেয়েকে নিয়ে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন তিনি।

প্রায় দু’‌ঘণ্টা রেল লাইনের ধারে অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন তারা। জ্ঞান ফেরার পর কোনওমতে হেঁটে চান্দেরি স্টেশনে আসেন। সেখানকার বাসিন্দাদের ঘটনার কথা জানালে তারাই মা-‌মেয়েকে স্থানীয় লালা লাজপত রায় হাসপাতালে পাঠান। শারীরিকভাবে বিপন্মুক্ত হলেও, ঘটনার অভিঘাত, আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেননি মা ও মেয়ে। রবিবার মামলা দায়ের করছে কানপুরের রেল পুলিশ।


বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর