শিরোনাম
১৭ আগস্ট, ২০১৮ ১৫:৫৪

বাংলাদেশে রপ্তানিকারক ভারতীয় পণ্যের স্থায়ী প্রদর্শন কেন্দ্র কলকাতায়

দীপক দেবনাথ, কলকাতা:

বাংলাদেশে রপ্তানিকারক ভারতীয় পণ্যের স্থায়ী প্রদর্শন কেন্দ্র কলকাতায়

ভারতের পক্ষে বাংলাদেশে রপ্তানিকারক সমস্ত পণ্যের সম্ভার নিয়ে কলকাতায় প্রথমবারের মতো তৈরি হতে যাচ্ছে স্থায়ী প্রদর্শন কেন্দ্র ‘ভারতীয় শোকেস’। ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কর্মাস অব ইন্ডাস্ট্রিজ (আইবিসিসিআই) এবং দ্য কনফেডারেশন অব ওয়েষ্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন (সিডব্লিউবিটিএ)-এর যৌথ উদ্যোগেই তৈরি করা হচ্ছে এই ভারতীয় শোকেস। একথা জানিয়েছেন আইবিসিসিআই-এর সভাপতি প্রেসিডেন্ট আবদুল মাতলুব আহমেদ। বৃহস্পতিবার কলকাতায় দুই সংগঠনের পক্ষেই এ সম্পর্কিত একটি চুক্তি হয়। 

এ ব্যাপারে মাতলুব আহমেদ জানান, ‘ভারতের যত পণ্য বাংলাদেশে রপ্তানি হয়, তার নমুনা বা ক্যাডালক সেই প্রদর্শনশালায় থাকবে। এর ফলে বাংলাদেশ থেকে যে ব্যবাসয়িক প্রতিনিধি দল বা আমদানিকারকরা আসবেন তাদের বিভিন্ন জায়গায় না ঘুরে একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকেই উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী ও সাপ্লায়ারস পেয়ে যাবে এবং পণ্যও পেয়ে যাবেন। ভারতীয় শোকেস নামে যেটি শুরু করা হচ্ছে সেটা এই মুহূর্তে বাংলাদেশ কেন্দ্রিক হবে। ভবিষ্যতে হয়তো সিডব্লিউবিটিএ ভারতের অন্য জায়গায় অন্য কোন দেশকে নিয়ে এই শোকেস করবে।’ তাঁর আশা ভারতীয় পণ্য ও রপ্তানিকারী সম্পর্কিত প্রদর্শনী ও তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে এই ভারতীয় শোকেস একদিন ‘ওয়ান স্টপ সেন্টারে' পরিণত হবে। 

মাতলুব আহমেদর অভিমত ‘দুই দেশের যে সম্পর্ক আছে এর মধ্যে দিয়ে সেই সম্পর্ক আরও তরাণ্বিত হবে এবং এই শোকেস-এর মাধ্যমে দুই দেশের বাণিজ্যও বৃদ্ধি পাবে। এই শোকেসে আমাদের বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদেরও জায়গা দেওয়া হবে এবং আমাদের পক্ষে আমরা কি কি পণ্য রপ্তানি করতে পারি সেটাও আমরা শোকেস করতে পারবো।’ 

অন্যদিকে সিডব্লিউবিটিএ-এর সভাপতি সুশীল পোদ্দার জানান ‘ভারতে প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্যসামগ্রী বাংলাদেশে রপ্তানি করলেও এখানে সেই সব রপ্তানিকারক পণ্যের কোন প্রদর্শনী কেন্দ্র নেই। কলকাতার দমদম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছাকাছি কোন একটি জায়গায় এই প্রস্তাবিত ‘ভারতীয় শোকেস’ তৈরির প্রচেষ্টা চলছে। এই শোকেস’এ ভারত থেকে যেসব পণ্য বাংলাদেশে রপ্তানি করা হয় সেগুলি সেখানে রাখা হবে। ভারতীয় ব্যবসায়ী, উৎপাদনকারীরা তাদের পণ্যের নমুনা, ক্যাডালক সেখানে  প্রদর্শন করতে পারবেন। এর ফলে বাংলাদেশি আমদানীকারকরা এদেশের বিভিন্ন পণ্যের বিস্তারিত খোঁজখবর নিতে পারবেন।’ এর পাশাপাশি আইবিসিসিআই-কেও অনুরোধ জানানো হয়েছে বাংলাদেশেও যাতে এরকম একটি প্রদর্শনী কেন্দ্র করা হয়। সেখানেও বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেসমস্ত পণ্য রপ্তানি করা হয়, তা রাখা হলেও আমাদের ভারতীয় আমদানীকারকরা এক ছাতার তলায় সব সুবিধা পেয়ে যাবেন।’

এই মুহূর্তে ভারত ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও ব্যাবসায়িক সম্পর্ক তুঙ্গে রয়েছে বলে জানিয়ে মাতলুব বলেন ‘ভারত বাংলাদেশকে একতরফাভাবে শুল্ক মুক্ত দিয়েছে, যাতে বাংলাদেশ থেকে পণ্য ভারতে আসতে পারে। আজকে দুই দেশের বাণিজ্য লেনদের পরিমাণ ৯ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। আমরা আশা করছি আগামী দিনে এটা ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।’ 


বিডি প্রতিদিন/১৭ আগষ্ট ২০১৮/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর