২ অক্টোবর, ২০১৮ ১৪:৩৫

ত্রিপুরায় কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র বন্ধ

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

ত্রিপুরায় কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র বন্ধ

বন্ধ হয়ে গেল ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সিস্ট) এর মুখপত্র ‘ডেইলি দেশের কথা’। সোমবার ভারতের রেজিস্ট্রার অফ নিউজপেপারস ফর ইন্ডিয়া’কে (আরএনআই)-এর পত্রিকাটির রেজিস্ট্রেশন বাতিলের ঘোষণা দেয়। রাজ্যটির পশ্চিম ত্রিপুরার জেলা শাসকের কার্যালয় থেকে এ সম্পর্কিত প্রাপ্ত রিপোর্টের ভিত্তিতেই আরএনআই’এর তরফে ‘ডেইলি দেশের কথা’ কর্তৃপক্ষকে আর পত্রিকা প্রকাশ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই নির্দেশের জেরে আজ মঙ্গলবার আর পত্রিকা প্রকাশিত হয়নি। ‘ডেইলি দেশের কথা’র পত্রিকার সম্পাদকের নাম এবং মালিকানা সম্পর্কিত কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৪০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম আজ পত্রিকা প্রকাশিত হল না।

সূত্রের খবর, ১৮৬৭ সালের প্রেস এন্ড রেজিস্ট্রেশন অফ বুকস (পিআরবি) অ্যাক্ট লঙ্ঘনের অভিযোগেই এই পত্রিকাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, পত্রিকায় প্রকাশিত সম্পাদক, মুদ্রণ ও প্রকাশক সম্পর্কিত তথ্য এবং রেজিস্ট্রার অফ নিউজপেপারস ফর ইন্ডিয়া’কে (আরএনআই)-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যের মধ্যে বিস্তারিত ফারাক পাওয়া গেছে।

১৯৭৯ সালের ১৫ আগস্ট ত্রিপুরায় সিপিএম মুখপত্র ‘ডেইলি দেশের কথা’ চালু হয়েছিল। সেই সময় পত্রিকার মালিকানা ছিল সিপিএমের। প্রথম সম্পাদক ছিলেন দলের নেতা গৌতম দাস। ২০১২ সালে দলের মালিকানা বদল করে সোসাইটি তৈরি করা হয় এবং সেই সোসাইটি এটি পরিচালনা করতে শুরু করে। কিন্তু মালিকানা পরিবর্তন হয়ে সোসাইটি তৈরি হলেও গৌতম দাসই সম্পাদক থেকে যান। ২০১৫ সালে পত্রিকাটিকে একটি ট্রাস্টের আওতায় আনা হয় এবং ‘ডেইলি দেশের কথা’র নতুন সম্পাদক হন সমীর পাল। কিন্তু পত্রিকাটির মালিকানা সিপিআইএম থেকে সোসাইটি এবং পরে ট্রাস্ট করার যে প্রক্রিয়া তা সব জায়গায় নিয়ম মেনে করা হয়নি।

যদিও সিপিআইএম’এর অভিযোগ, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে রাজ্যের বিজেপি সরকার বিরোধী দলের এই মুখপত্র বন্ধ করে দিয়েছে। কাগজ বন্ধের বিরুদ্ধে বুধবার সুপ্রিম কোর্টে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।

দলটির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও দলের মুখপত্রের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেওয়ায় আরএনআই’এর এই ভূমিকায় তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এটা কঠোর নিন্দনীয় ঘটনা এবং বিজেপি নেতৃত্বাধীন ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত। এটা হল গণতন্ত্রের দমন।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর