২১ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:১২

বাংলাদেশে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে ভারতের ‘কিস’

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

বাংলাদেশে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে ভারতের ‘কিস’

বাংলাদেশের ঢাকা ও যশোরে শাখা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে চলেছে ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ওড়িশার কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি (কিট)-এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব সোস্যাল সায়েন্স (কিস)। 

রবিবার দুপুরে কলকাতার এক হোটেলে (অ্যাস্টর) ‘প্রেস গেট টুগেদার’ অনুষ্ঠানে মিলিত হয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন কিট ও কিসের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক অচ্যুত সামন্ত। 

এসময় তিনি জানান ‘বাংলাদেশে কিস-এর নতুন দুইটি শাখা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হবে আবাসিক এবং অবৈতনিক। বাংলাদেশের দরিদ্র পরিবারের ছেলে-মেয়েরাই এ দুই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুযোগ পাবে। ঢাকার প্রতিষ্ঠানটিতে পড়ার সুযোগ পাবে কেবলমাত্র ছেলেরা এবং যশোরের প্রতিষ্ঠানটি হবে কেবলমাত্র নারী শিক্ষার্থীদের জন্য। প্রাথমিকভাবে দুইটি জায়গাতেই প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা বাংলা ভাষাতেই শিক্ষা পাবে। 

ঢাকার ধানমন্ডিতে দুই একর জমির উপরে এই প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে এটি তৈরি করছে কিস। এখানে আর্থিক দায়ভার ড্যাফোডিলই বহন করবে। কারিগরি সহায়তা দেবে কিস। 

অন্যদিকে যশোরের এনজিও ‘বাঁচতে শেখো’র সঙ্গে যৌথভাবে ৫ একর জমির উপরে তৈরি হচ্ছে আরেকটি প্রতিষ্ঠান। নাম দেওয়া হয়েছে ‘কিস অ্যাঞ্জেলা গোমস রেসিডেন্সিয়াল স্কুল’। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সম্পূর্ণ আর্থিক দায়ভার বহন করবে কিস।’ 

আগামী বছরের জানুয়ারি থেকেই এই দুটি প্রতিষ্ঠান চালু হবে বলে আশাবাদী অচ্যুত সামন্ত। 

বাংলাদেশে তাদের শাখা প্রতিষ্ঠান খোলার কারণ হিসাবে কিস’এর প্রতিষ্ঠাতা জানান ‘আমি নিজে খুব গরীব ঘরের সন্তান। তাই শুরু থেকেই গরীবদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করে এসেছি।’ 

উল্লেখ্য ভারতে কিট’এর একমাত্র প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বরের পাতিয়া নামক স্থানে। ১৯৯২ সালে অধ্যাপক সামন্ত একক প্রচেষ্টায় গড়ে তোলেন কিট। ২০১৭ সালের তৈরি করেন বিশ্বের প্রথম আদিবাসীদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিস। বর্তমানে দুটিই ডিমড বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা পেয়েছে। 

সামন্ত বলেন ‘গত দশ বছর ধরে অন্য দেশের পাশাপাশি প্রচুর বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও কিট-এ অধ্যয়ন করতে আসছেন। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন নামী প্রতিষ্ঠানে তারা কর্মরত। বর্তমানে প্রায় শতাধিক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এখানে অধ্যয়ন করছেন।’  


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর