৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ১৯:১৪

রাজীবের জন্য আমি জীবন দিতেও রাজি: মমতা

অনলাইন ডেস্ক

রাজীবের জন্য আমি জীবন দিতেও রাজি: মমতা

“রাজীব চোর? কার টাকা নিয়েছে ও? আমি ওর জন্য জীবন দিতেও রাজি।” ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার মেট্রো চ্যালেনে ধরনা বা অবস্থান ধর্মঘটে থেকে এভাবেই গর্জে উঠেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তারপর তিনি জানান “রাস্তায় দাঁড়িয়ে লড়াই করব আমি। কী হবে আমার? ৩৫৬ ধারা? আমার কাছেও ৪২০ ধারা রয়েছে।  তিনি আবারও সতর্ক করেন, “৩৫৫,৩৫৬ হবে? এত সস্তা? আমাদেরও ১৪৪ রয়েছে।” 

উল্লেখ্য, ১৪৪ ধারার কথা উল্লেখ করেই মুখ্যমন্ত্রী কার্যত বুঝিয়ে দিলেন, যদি ৩৫৫, ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করা হয়, তবে রাজ্যে ঢোকা বন্ধ করে দেবেন তিনি।

এরই সাথে মমতা আরও জানান, রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে ব্যক্তিগতভাবে একজন অফিসারের পিছনে অন্যজনকে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করার জন্য আমার রাগ আছে। কেউ দোষী না হলেও তাকে হেনস্তা করা হলে আমি প্রতিবাদ করব। যারা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নেই বলে চিৎকার করেন, তাদের মুখে লিউকোপ্লাস্ট লাগিয়ে দেওয়া উচিত।

প্রসঙ্গত, ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা সারদা দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বাসায় হাজির হওয়ার পর তুলকালাম রাজ্য রাজনীতিতে। যে কারণে প্রতিবাদ করতে কলকাতার ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে সামনে ধরনায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী। আর মমতা তার এই প্রতিবাদকে মহাত্মা গান্ধীর ভাষায় বলতে চাইছেন ‘সত্যাগ্রহ’। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জির অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্র সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে দেশের সব গণতান্ত্রিক কাঠামো ভেঙে ফেলছে। এ কারণে গণতন্ত্র রক্ষা করতে এবং দেশকে বাঁচাতেই তিনি ধরনায় বসেছেন।

জানা গেছে, রাজীব কুমার পড়াশোনা করেছেন এম এম কলেজ থেকে। ওখান থেকে পাশ করেই সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন। সফল হন। আইপিএস জীবনের প্রায় শুরুর দিন থেকেই তিনি রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গতে। এর আগে ছিলেন নদীয়ার পুলিশ সুপার। ২০১৬ সালে সুরজিৎ কর পুরকায়স্থের জায়গায় তিনি আসেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার হিসেবে। ২০১৩ সালে চিটফান্ড কেলেঙ্কারি মামলায় রাজ্য সরকার যে বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করেছিল, তার নেতৃত্বের দায়িত্বে ছিলেন রাজীব কুমার।

বিডি-প্রতিদিন/০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর