বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

রেলমন্ত্রীর শ্বশুরবাড়ি চান্দিনার মীরাখোলা

রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিবের শ্বশুরবাড়ি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মীরাখোলা গ্রামে। কনের চাচাতো ভাই ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আবদুল মবিন মুন্সী জানান, কনে হনুফা আক্তার রিক্তা মীরাখোলা গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুন্সীবাড়ির মৃত আবদুল হামিদ উল্লাহ্ মুন্সীর দুই ছেলে ও পাঁচ মেয়ের মধ্যে সবার ছোট। রিক্তা কুমিল্লা থেকে ২০০০ সালে এসএসসি ও ২০০২ সালে এইচএসসি পাস করেন। পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে তিনি এলএলবি ডিগ্রিও গ্রহণ করেন।

কনের বড় ভাই নাছির উদ্দিন মুন্সী দুবাই প্রবাসী। ছোট ভাই আলাউদ্দিন মুন্সী সম্প্রতি মালদ্বীপ থেকে দেশে এসেছেন। বড় বোন শাহানারা আক্তার গৃহিণী। বিয়ে হয়েছে চান্দিনার গল্লাই মুন্সীবাড়িতে। তার স্বামী পুলিশে চাকরি করেন। মেজো বোন হাজেরা আক্তার গৃহিণী। বিয়ে হয়েছে একই গ্রাম মীরাখোলায়। তার স্বামী সম্ভ্রান্ত গৃহস্থ। সেজো বোন শিরিন আক্তার। বিয়ে হয়েছে বুড়িচং উপজেলার কাবিলা গ্রামের এক প্রবাসীর সঙ্গে। চতুর্থ বোন মুক্তা আক্তারের বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী নবাবপুর গ্রামের এক প্রবাসীর সঙ্গে।

কনের ভাই আলাউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। স্থানীয় অন্য একটি সূত্র জানায়, তিন বছর আগে হনুফা আক্তার রিক্তা মীরাখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে চাকরির বিষয়ে সুপারিশের জন্য রেলমন্ত্রী (তৎকালীন হুইপ) মুজিবুল হক এমপির কাছে যান। তখন থেকেই রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক এমপির সঙ্গে রিক্তার পরিচয় হয়। রেলমন্ত্রীর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বশুয়ারা গ্রামে।

১৯৪৭ সালের ৩১ মে বশুয়ারার এক ধার্মিক বংশে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পিতা রজ্জব আলী একজন কৃষক ও পরহেজগার ব্যক্তি ছিলেন। তার মাতা সোনাবান বিবিও ছিলেন ধার্মিক নারী। আট ভাই ও এক বোনের মধ্যে মুজিবুল হক সবার ছোট। উত্তর পদুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা লাভের পর মুজিবুল হক কাশিনগর বিএম উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৯৬৬ সালে এসএসসি পাস করেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে তিনি ১৯৬৮ সালে এইচএসসি এবং ১৯৭০ সালে বিকম পাস করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবনেই ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে এবং ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনীর (বিএলএফ) সদস্য হিসেবে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। পরে তিনি যুবলীগের কুমিল্লা জেলা সভাপতি, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। যুবলীগের রাজনীতির পর মুজিবুল হক দীর্ঘদিন কুমিল্লা জেলার আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক, প্রচার সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার যুগ্ম-আহ্বায়ক। রেলমন্ত্রীর বিয়ের সিদ্ধান্তের খবরে তার গ্রামের বাড়ি চৌদ্দগ্রামে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে। অনেকে বলছেন, বিয়ের পর পরিবার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লে তিনি এলাকার মানুষ থেকে দূরে সরে যাবেন। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদা আখতার বলেন, রেলমন্ত্রীর বিয়ের সিদ্ধান্তে দলীয় নেতা-কর্মীসহ সবার মধ্যে খুশির আমেজ বিরাজ করছে। কারণ তাদের দেখভাল করার জন্য রেলমন্ত্রীর পরিবারে একজন নতুন সদস্য যোগ হচ্ছে।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর