বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

চারঘাটে আওয়ামী লীগ কর্মীকে গুলি করে হত্যা

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তার নাম লাভলু সরকার (৪০)। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার শিশুতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
লাভলু সরকার উপজেলার বাদুড়িয়া এলাকার বাসিন্দা। মাথার পেছন দিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়। ব্যবসায়িক বিরোধের জেরে কিংবা ছিনতাইকারীরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ গতকাল ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিশুতলায় মোটরসাইকেলের লাইট জ্বালানো অবস্থায় লাভলুকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে চারঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান তার মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের একজন চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, লাভলুর মাথার পেছনে এক জায়গায় গুলি লেগে গর্ত হয়ে গেছে। সেখান থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, লাভলু মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারের উদ্দেশে বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলেন। চারঘাটের জয়পুর বাজার থেকে আরেক ব্যক্তি লাভলুর সঙ্গী হন। তারা দুজন রাত সাড়ে ৮টার দিকে বানেশ্বর বাজারে যাওয়ার পথে লাভলু গুলিবিদ্ধ হন।
লাভলুর চাচাতো ভাই আবদুল মমিন সাংবাদিকদের বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এর পেছনে অনেক হাত থাকতে পারে। তবে কাদের হাত থাকতে পারে তা তিনি স্পষ্ট করে জানাননি। স্থানীয়রা জানায়, শিশুতলায় প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ার পর চিনে ফেলায় তারা লাভলুকে গুলি করে হত্যা করে থাকতে পারে। চারঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, লাভলু আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবসাও করতেন। ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জেরেই কেউ তাকে গুলি করে হত্যা করে থাকতে পারে।
চারঘাট মডেল থানার ওসি গোলাম মোর্তুজা জানান, ছিনতাইকারীদের গুলিতে লাভলু নিহত হয়ে থাকতে পারেন। আবার তার সঙ্গে কারও দ্বন্দ্ব ছিল কি না কিংবা এটা রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড কি না তাও খুঁজে দেখা হচ্ছে।
 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর