মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

উত্তরাঞ্চলের উন্নয়নে ৫০ কোটি টাকার প্রকল্প

১৪ জেলার গ্রাম শহর সংযোগ বাড়ানো হবে

পিছিয়ে পড়া জনপদ হিসেবে চিহ্নিত উত্তরাঞ্চলের ১৪টি জেলাকে একসূত্রে বাঁধতে চায় সরকার। এসব অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা, অবকাঠামো, পয়ঃনিষ্কাশন, স্যানিটেশন ব্যবস্থা, গ্যাস-বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, সম্প্রসারিত বাজার ব্যবস্থা ইত্যাদির উন্নয়নে ৫০ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ২৭ কোটি টাকা দেবে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)। আর প্রকল্পের বাকি টাকা সরকারি তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ওইসব এলাকার গ্রাম ও শহরের আন্তঃসংযোগ বৃদ্ধি করা। পাশাপাশি গ্রাম ও শহরের সমন্বিত উন্নয়ন সাধন করা। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠানো এক প্রস্তাবে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। কমিটির আগামী সভায় প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। এতে বলা হয় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে, উত্তরাঞ্চলের জেলা (ঢাক বিভাগের) জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা,  শেরপুর ও টাঙ্গাইল এবং রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারী, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও এবং লালমনিরহাটের সমন্বিত উন্নয়ন সাধিত হবে। এর মাধ্যমে পল্লী অবকাঠামোর উন্নয়ন হবে। পৌরসভার সুযোগ সৃষ্টি হবে। জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পাবে। নগর অবকাঠামো ও পৌরসভার সুযোগ সৃষ্টি হবে। দারিদ্র্য হ্রাস করে গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নতি সাধন হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলে শক্তিশালী বাজার ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। যার মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে উৎপাদিত কৃষিজ পণ্য বাজারজাত করতে সহজ হবে। জাইকার এ সংক্রান্ত প্রকল্প মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তরবঙ্গে উৎপাদিত পচনশীল শাক-সবজি সঠিক সময়ে পরিবহনের অভাবে পচে নষ্ট হয়ে যায়। এ প্রকল্পের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটবে। ফলে ওইসব পচনশীল পণ্য দ্রব্যাদি খেত থেকে খুব সহজেই জেলা ও বিভাগীয় শহরে পাঠানো যাবে। যা ওই অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে বলে মনে করে জাইকা। এতে ওই অঞ্চলের মানুষের জীবন যাত্রার মানও বাড়বে।

জাইকা মনে করে উৎপাদন ও উৎপাদিত পণ্যের বহুমুখীকরণ করতে পারলে দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে। যা দেশের সার্বিক উন্নয়কে ত্বরান্বিত করবে। শুধু তাই নয়। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হলে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবে কৃষক। অন্যদিকে নিয়ন্ত্রণে থাকবে মূল্যস্ফীতি। জাইকার মূল্যায়ন প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দারিদ্র্যপীড়িত এসব জেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ন্যায্য শ্রমমূল্য নিশ্চিত হবে। খেত বা কৃষি অঞ্চল থেকে হিমাগারের দূরত্ব কমে আসবে। ফলে পচনশীল পণ্য বাজারজাতের পাশাপাশি হিমাগারে সংরক্ষণ করা যাবে। প্রতি বছর কয়েকশ কোটি টাকার কৃষিজ পণ্য সংরক্ষণের অভাবে পচে নষ্ট হয় বলে মনে করে সংস্থাটি। যা এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে রোধ করা সম্ভব।

সর্বশেষ খবর