বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

গোলাম আযমের আপিল শুনানি ২ ডিসেম্বর

গোলাম আযমের আপিল শুনানি ২ ডিসেম্বর

মানবতাবিরোধী অপরাধে ৯০ বছরের কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের আপিলের ওপরে ২ ডিসেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও আসামি পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। খন্দকার মাহবুব শুনানিতে বলেন, গোলাম আযমের ৯০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। তিনি ৯২ বছরের বৃদ্ধ। তিনি আজ জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তিনি যে কোনো সময় মারা যেতে পারেন। এ মামলার আপিল শুনানির প্রয়োজন নাও হতে পারে। খন্দকার মাহবুব আরও বলেন, অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। ২০০৩ সালের মামলাও বিচারাধীন। গোলাম আযমের এ মামলার শুনানি শুরু হলে দীর্ঘ সময় লাগবে। তাই তাড়াহুড়ার দরকার নেই। এ জন্য একটু লম্বা সময় দিয়ে দিন ধার্য করা যেতে পারে। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এ মামলার শুনানি না হলে আরও কয়েকটি আপিলেরও শুনানি সম্ভব হবে না। এ কারণে এ আপিলের নিষ্পত্তি প্রয়োজন। তিনি বলেন, যে কোনো ব্যক্তি যে কোনো সময় মারা যেতে পারেন। অসুস্থতার কথা বলে মামলার বিচার কাজ থেমে থাকতে পারে না। প্রত্যেকটি মামলারই নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন। গত বছরের ১৫ জুলাই বয়স বিবেচনায় নিয়ে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির পরিবর্তে গোলাম আযমকে ৯০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। খালাস চেয়ে আসামি পক্ষ আপিল করে। সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে আপিল করে সরকার পক্ষ।
হাছান আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ১১ নভেম্বর : মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়ে কিশোরগঞ্জের তারাইল উপজেলার পলাতক সৈয়দ মোহাম্মদ হাছান আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে ১১ নভেম্বর সিদ্ধান্ত দেবেন ট্রাইব্যুনাল। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন। প্রসিকিউশনের পক্ষে অভিযোগ গঠনের শুনানিতে অংশ নেন প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী ও আবুল কালাম। আসামি পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আবদুস শুকুর খান।
জব্বারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য : মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পিরোজপুর-৪ আসনে জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আবদুল জব্বারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ১৫তম সাক্ষী বকুল রানী হালদারের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল-১ সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। বকুল রানী হালদার জানান, ১৯৭১ সালে তার শ্বশুর মধুসূদন হালদার ও ভাশুর প্রিয়নাথ হালদারসহ ২২ জনকে আবদুল জব্বারের নির্দেশে হত্যা করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সাক্ষীকে জেরা করেন আসামি পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আবুল হাসান।

সর্বশেষ খবর