শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

আট শিক্ষা বোর্ডে ভিন্ন প্রশ্নপত্রে জেএসসি পরীক্ষা

আগামী ২ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা। এবারই প্রথম আট শিক্ষা বোর্ডে ভিন্ন ভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে। মঙ্গলবার সব বোর্ডের প্রশ্নপত্র একত্রিত করে লটারির মাধ্যমে প্রশ্নপত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের উপস্থিতিতে এ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করতে এবং কোনো কারণে একটি এলাকায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে যাতে সারা দেশের পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় না পড়ে সেজন্যই এ পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
নতুন এ পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসলিমা বেগম বলেন, ‘প্রশ্নপত্রের ফাঁস রোধে আমরা একটি কৌশল নিয়ে পরীক্ষা নিচ্ছি। তবে এটুকু বলতে পারি, সব বোর্ডে একই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হচ্ছে না, এমনকি কোন বোর্ডে কোন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হবে, তা কেউ বলতে পারবে না।’
তিনি জানান, ‘আমরা সব বোর্ড থেকে একটি বিষয়ের চার সেট করে প্রশ্নপত্র নিয়েছি। এতে একটি বিষয়ে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের (ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, রাজশাহী, সিলেট, যশোর, দিনাজপুর ও বরিশাল) ৩২ সেট প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হয়েছে। এ ৩২টি সেট থেকে যে কোনো একটি প্রশ্নপত্র দিয়ে একটি বোর্ডের পরীক্ষা নেওয়া হবে। কোন বোর্ডে কোন সেটে পরীক্ষা হচ্ছে কেউ বলতে পারবে না।’ শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এবার প্রত্যেক শিক্ষা বোর্ড প্রতি বিষয়ের জন্য চার সেট প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করেছে। এ চার সেটের মধ্যে দুটি সেট আন্তঃবোর্ডের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। এভাবে আটটি বোর্ডের প্রতি বোর্ড থেকে এক বিষয়ের দুই সেট জমা হলে মোট ১৬ সেট প্রশ্নপত্র জমা পড়ে। এ ১৬ সেট প্রশ্নপত্র একত্রিত করে সব বোর্ডের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে লটারির মাধ্যমে দুই সেট করে আট বোর্ডে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। আর বাকি ১৬টি প্রশ্নপত্র রিজার্ভ রাখা হয়েছে। নতুন এ পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র প্রণীত হওয়ায় কোন বোর্ডে কোন সেটের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হচ্ছে তা কেউ জানবে না। তারা জানান, বিজি প্রেস থেকে বিভিন্ন জেলায় প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে দেওয়ার কাজ শেষ পর্যায়ে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. শ্রীকান্ত চন্দ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে এত ফোকাস করা ঠিক হবে না। এটা গোপনীয় বিষয়। গত বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার পর সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন কিংবা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও প্রকাশনা নিয়ে নতুন কৌশল নির্ধারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। সে কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে চলতি বছরের জেএসসি পরীক্ষা পদ্ধতিতে এ পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে শিক্ষা বোর্ডসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর