শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

নড়াইল ও কিশোরগঞ্জে সংঘর্ষে নিহত দুই, ভাঙচুর-লুটপাট

আধিপত্য বিস্তার ও বাড়ির সীমানা নিয়ে সংঘর্ষে নড়াইল ও কিশোরগঞ্জে দুজন নিহত হয়েছেন। চালানো হয়েছে ভাঙচুর, লুটপাট।
জানা যায়, নড়াইল সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম, রামসিদ্ধি ও কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ি ইউনিয়নের কলিমন গ্রামের দুই গ্রুপে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন বাঁশগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, ভদ্রবিলা ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত সিকদার ও চাঁচুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান। অন্য গ্রুপের নেতৃত্ব দেন জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. নাজমুল আলম ও হিরোক। বুধবার রাতে রামসিদ্ধি গ্রামে বাঁশগ্রামের মফিজুর রহমান মফি মেম্বর ও ভদ্রবিলা গ্রামের নান্না মোল্যার লোকজনের মধ্যে বিরোধ মীমাংসার জন্য শালিসি বৈঠক বসে। কিন্তু এ সময় মারামারি হয়। এর জের ধরে গতকাল সকালে দুগ্রুপের লোকজন ঢাল, সড়কি, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন। নড়াইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে মহসিন সিকদার (৩৬) নামে একজন মারা যান। সংঘর্ষের সময় কমপক্ষে আটটি বাড়িঘরে ভাঙচুর করা হয়। নড়াইল সদর থানার এসআই শেখর জানান, তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গেলেও কয়েকজনের ফোর্স নিয়ে অনেকটা অসহায় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ওসি রেজাউল করিম বলেন, ‘তিনটি গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ায় অল্পসংখ্যক পুলিশ সদস্য সামাল দিতে ব্যর্থ হয়। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’ এদিকে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় বাড়ির সীমানা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে সাইফুল ইসলাম (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল ভোর ৫টার দিকে ভাগলপুর হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। সাইফুল বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর গ্রামের চন্দু মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, চন্দু মিয়া ও বকুল মিয়ার মধ্যে বাড়ির সীমানা নিয়ে কয়েক বছর ধরে বিরোধ চলছিল। বুধবার দুপুরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হলে চান্দু মিয়া ও তার ছেলে সাইফুল আহত হন। বাজিতপুর থানার ওসি সুব্রত কুমার সাহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সর্বশেষ খবর