রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

জন্ম ও মৃত্যু সনদের ফি বাড়ছে

নিবন্ধন তথ্য ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে আধাসরকারি প্রতিষ্ঠান

বাড়ছে জন্ম ও মৃত্যু সনদের ফি। জন্ম ও মৃত্যুর ৪৫ দিন পর থেকে ৫ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত নিবন্ধন ফি নির্ধারণ করা হচ্ছে ১০০ টাকা। আর জন্ম ও মৃত্যুর ৫ বছর পর ১০ বছর পূর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত ও মৃত্যুর ৫ বছর পরে মৃত্যু নিবন্ধন ফি ৫০০ টাকা। এ ছাড়া জন্মের ১০ বছর পর জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে এককালীন ফি ১০০০ টাকা নির্ধারণ করা হচ্ছে। একইভাবে তথ্য সংশোধন ফি ৫০০ টাকা, সনদের দ্বি-নকল কপি সরবরাহ ৫০ টাকা, সার্ভিস চার্জ ৫০ টাকা নির্ধারণ করে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা ২০১৪-এর খসড়া করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। অন্যদিকে আগে জন্ম ও মৃত্যুর ২ বছরের মধ্যে নিবন্ধন ফি না লাগলেও বর্তমানে তা কমিয়ে ৪৫ দিন করা হচ্ছে তথা জন্ম ও মৃত্যুর তারিখ হতে ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন করতে ফি লাগবে না। তবে জন্ম ও মৃত্যু সনদ বাতিল ও সনদের মূল কপি সরবরাহের ক্ষেত্রে কোনো ফি লাগবে না বলে বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে টাকার বিনিময়ে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন তথ্য ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এক্ষেত্রে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন তথ্য ২৫ হাজার টাকা ফি দিয়ে এক বছরের জন্য ব্যবহার করতে পারবে সরকারি-আধাসরকারি, বিদেশি দূতাবাসমূহ ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো। নতুন বিধিমালায় এমন বিধান রাখা হচ্ছে। এক্ষেত্রে তারা রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ে প্রতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর সময়ের জন্য ২৫ হাজার টাকা ফি দিয়ে নথিভুক্ত ক্লায়েন্ট হতে হবে। এরপরে তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে জন্ম-মৃত্যুর তথ্য সফটওয়্যারে স্থানান্তর করে নিতে পারবে। সূত্র জানিয়েছে, জন্ম ও মৃত্যুর ২ বছরের মধ্যে নিবন্ধন ফি ছাড়াই নিবন্ধন করা হতো। এছাড়া বর্তমানে জন্ম ও মৃত্যুর ২ বছর পরে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রতি বছর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ টাকা ও সিটি করপোরেশনের ১০ টাকা হারে ফি নেওয়ার বিধান রয়েছে। আর সনদের বাংলা ও ইংরেজি দ্বি-নকল কপি সরবরাহের জন্য ইউপি ও সিটি করপোরেশনের জন্য ২৫ টাকা ফি রাখা হতো এবং সনদ সংশোধনে দিতে হতো মাত্র ১০ টাকা। তবে এসব ফি পরিবর্তন করে নতুন ফি নির্ধারণের জন্য বিধিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।  অন্যদিকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা ২০১৪-এর খসড়ায় মতামত নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র অনু বিভাগে পাঠানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশন জাতীয় পরিচয়পত্র অনু বিভাগ ও নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনা শাখা এই খসড়ার জন্য মতামত প্রস্তুত করছে। এক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন ফি বাড়ানোর কারণে জন্ম নিবন্ধনকারীদের সংখ্যা কমতে পারে বলে মতামত দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া চলমান ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমে  ভোটার হওয়ার জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদ দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হলেও অনেক ভোটার তা দিতে পারেননি। এক্ষেত্রে নারী ভোটাররা জন্ম সনদ দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশি পিছিয়ে রয়েছে। আর ফি বাড়ানো হলে ভোটার নিবন্ধনের ক্ষেত্রে অনেকেই জন্ম নিবন্ধন সনদ দেবে না বলে মনে করছে ইসির কর্মকর্তারা।

সর্বশেষ খবর