রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা
স্ট্যান্ডার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রাখতে আমরা প্রতিজ্ঞ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ বিমান বাহিনী (বিএএফ) ঘাঁটি জহুরুল হককে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান করেছেন। এ সময় তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বিএএফ দেশপ্রেম ও পেশাগত দক্ষতার মাধ্যমে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডের সম্মান, সুনাম ও গৌরব সমুন্নত রাখবে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
গতকাল পতেঙ্গায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হকের ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের আগেই আমরা বিমান বাহিনীকে আরও আধুনিকায়নের মাধ্যমে শক্তিশালী ও কার্যকর বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হব ইনশাল্লাহ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর ঘাঁটিটির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। বিমান বাহিনীকে শক্তিশালীকরণে ও জাতির স্বার্থে এ ঘাঁটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জহুরুল হক বিমান ঘাঁটির প্যারেড গ্রাউন্ডে একটি আকর্ষণীয় কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। গ্র“প ক্যাপ্টেন সৈয়দ সায়েদুর রহমান কুচকাওয়াজ পরিচালনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছলে বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল মোহাম্মদ এনামুল বারি, এনডিসি, পিএসসি এবং ঘাঁটির কমান্ডিং অফিসার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর তাকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। এ সময় জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। কুচকাওয়াজকালে প্রধানমন্ত্রীকে ‘ন্যাশনাল স্যালুট’ প্রদান করা হয় এবং এ সময় তিনবার ‘চিয়ার আপ’ প্রতিধ্বনিত ও জাতীয় পতাকাবাহী হেলিকপ্টার পাস্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় কেবিনেট সদস্য, সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ সেনা ও নৌ বাহিনীর প্রধানগণ, সশস্ত্র বাহিনীর সিনিয়র কর্মকর্তারা, আধাসামরিক বাহিনী, কূটনীতিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শেখ হাসিনা বলেন, আমার বিশ্বাস আধুনিকীকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী দেশ ও জাতির উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে আরও সক্রিয় অবদান রাখতে সক্ষম হবে। দেশকে বহিঃশত্রুর হাত থেকে রক্ষার জন্য সেনা নৌ ও বিমান বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ জন্য সেনা ও নৌ বাহিনীর উন্নয়নকে আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। তিনি আশা করেন, আমাদের দেশপ্রেমিক সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকাকে বিশ্বের বুকে সমুন্নত রাখবে। বাংলাদেশকে বিশ্বসভায় মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে তুলে ধরবে। দক্ষতা যেমন আত্মবিশ্বাস বাড়ায় তেমনি সংগঠনের জন্য বয়ে আনে সুনাম ও মর্যাদা। দক্ষ ও আদর্শ বিমানসেনা হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে বিমান বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান। এ জন্য প্রয়োজন উন্নত প্রশিক্ষণ ও কঠোর পরিশ্রম। পাশাপাশি আপনাদের স্মরণে রাখতে হবে, স্বাধীনতার জন্য লাখ প্রাণের ত্যাগ ও তিতিক্ষার ইতিহাস। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে ‘বঙ্গবন্ধু অ্যারোনটিক্যাল সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। উদ্ধার ও নিরাপত্তা পরিচালনার জন্য দুটি অত্যাধুনিক মেরিটাইম সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ হেলিকপ্টার অড-১৩৯ অতিশীঘ্রই বিমান বাহিনীতে সংযোজন করা হবে, যা এই ঘাঁটি থেকে পরিচালিত হবে। উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য বিমান বাহিনী একাডেমি, যশোরে ‘বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স’ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ চলছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বিমান বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। বিমান বাহিনীতে নতুন নতুন ইউনিট স্থাপনের ফলে জনবল বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর