রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

রাজশাহীর চরে গাঁজার চাষ

রাজশাহীর চরে গাঁজার চাষ

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মার চরগুলো অনেকটা দুর্গম। দুর্গম এলাকা হওয়ায় মাদক ব্যবসায়ীরা অনেকটা নির্ভয়ে এসব এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে গাঁজা চাষ করে আসছে। আর সেই গাঁজা তাদের হাত হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে অন্য এলাকায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা কম থাকায় চরাঞ্চলে গাঁজা চাষ বাড়ছে দ্রুত গতিতে। চরাঞ্চলে বসবাস করা মানুষরা জানান, উপজেলার মনিগ্রাম, পাকুড়িয়া ও গড়গড়ি ইউনিয়নের পদ্মার চরের ১০টি গ্রামে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের বাস। ওই সব এলাকায় গড়ে ১০০টি বাড়ির মধ্যে ৫০-৬০টি বাড়ির ভিতরে চাষ হচ্ছে গাঁজা। চরাঞ্চল ঘুরে জানা গেছে, পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কালীদাসখালী ও উদয়নগর, মনিগ্রাম ইউনিয়নের চৌমাদিয়া, দিয়ারকাদিরপুর, পলাশি ফতেপুর, ফতেপুর পলাশি, হোসেনের চর ও লক্ষ্মীনগর এবং গড়গড়ি ইউনিয়নের কয়ারি নওসারা এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে গাঁজার চাষ হচ্ছে। মাদক ব্যবসায়ীদের ভয়ে এলাকার কেউই মুখ খুলতে সাহস পান না।
স্থানীয় এক স্কুল শিক্ষক জানান, চর এলাকায় ১৯৭১ সালের পর বিভিন্ন জেলা থেকে আসা লোকজন বসতি গড়েন। তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা তেমন ভালো নয়, অধিকাংশ মানুষের জমিজমা নেই। সীমান্ত এলাকায় হওয়ায় চোলাচালান তাদের প্রধান আয়ের উৎস ছিল। এখন তাদের অধিকাংশ গাঁজা চাষের দিকে ঝুঁকেছেন। গড়গড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম বাবুল জানান, চরের বিভিন্ন বাড়িতে গাঁজার চাষ হওয়ার খবর তার কাছে আছে। তবে অনেকে এখন গাঁজার চাষ বন্ধ করে দিয়েছেন। মাঝে মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালালেও গাঁজা চাষ বন্ধে পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়। তবে চরাঞ্চলে গাজা চাষের সত্যতা অস্বীকার করেছেন বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুর রহমান। তিনি বলেন, ‘চরাঞ্চলের কিছু কিছু বাড়িতে খুব গোপনে বাড়ির আনাচে-কানাচে গাঁজার চাষ হয়। পুলিশ মাঝে মধ্যে অভিযানও চালায়।’

 

সর্বশেষ খবর