রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

নেপথ্যে হুন্ডি ব্যবসার দ্বন্দ্ব আটক ৩

নেপথ্যে হুন্ডি ব্যবসার দ্বন্দ্ব আটক ৩

রাজধানীর গুলশানের একটি আবাসিক হোটেলে নজরুল ইসলাম নামে এক মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অবশেয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। তারা হলেন রকিবুল ইসলাম, হেলাল উদ্দিন ও আমিনুল ইসলাম সোহাগ। ১৩ অক্টোবর গুলশানের হোটেল আমরী ইন্টারন্যাশনালে নজরুলকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। গতকাল সকালে রাজধানীর ফার্মগেট ও ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। হেলাল উদ্দিন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব। র‌্যাব-১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মাদ মাসুদ জানান, ১৩ অক্টোবর গুলশানের হোটেল আমরী ইন্টারন্যাশনালে নজরুলকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরপরই জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে কাজ শুরু করে র‌্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গফরগাঁও থেকে রকিবুল ও হেলালকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার উদ্ধার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ফার্মগেট থেকে আমিনুলকে গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাব-১-এর অধিনায়ক জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছেন, বৈদেশিক মুদ্রা কেনার কথা বলে হুন্ডি ব্যবসায়ী রফিকুল মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ী নজরুলকে আমরী ইন্টারন্যাশনাল হোটেলের ৭০২ নম্বর কক্ষে নিয়ে যান। এরপর তাকে চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে অজ্ঞান করার চেষ্টা করা হয়। এ সময় নজরুল বাঁচার জন্য হত্যাকারী হেলালের ডান হাতের আঙুলে কামড় দেন। পরে নজরুলের হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করেন রফিকুল ও হেলাল। হত্যার পর নজরুলের সঙ্গে থাকা বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্র্রা নিয়ে যান তারা।
তুহিন মোহাম্মাদ মাসুদ আরও জানান, রফিকুলের আপন ছোট ভাই রকিবুল। তারা দুই ভাই হুন্ডির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। হত্যার কথাও রকিবুল জানতেন। তথ্য গোপনের অভিযোগে রকিবুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নজরুলকে হত্যার জন্য রফিকুল ও হেলাল মিটফোর্ড ওষুধের দোকানের কর্মচারী সোহাগের কাছ থেকে চেতনানাশক ওষুধ কেনেন। হত্যাকাণ্ডের পর দ্রুত পালিয়ে যেতে সাদা টয়োটা গাড়ির (ঢাকা মেট্রো-গ-২৫-৮৮৯৬) নম্বরপ্লেট বদলে ফেলা হয়। হত্যার পর ১৩ অক্টোবর রফিকুল মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসে সপরিবারে দেশ ত্যাগ করেন। নজরুলকে হত্যার জন্য অনেক দিন থেকে পরিকল্পনা করছিলেন রফিকুল ইসলাম।

সর্বশেষ খবর