শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

সশস্ত্র বাহিনী আধুনিকায়ন হবে : প্রধানমন্ত্রী

সশস্ত্র বাহিনী আধুনিকায়ন হবে : প্রধানমন্ত্রী

সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তিন বাহিনীপ্রধান -পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনায় সমুজ্জ্বল সশস্ত্র বাহিনী জাতির জন্য গর্ব। আমরা এই বাহিনীর অব্যাহত সমৃদ্ধি চাই। এ জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছুই আমরা করব। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সুশৃঙ্খল সশস্ত্র বাহিনী পেশাগত দক্ষতা বজায় রেখে জাতি গঠনে আরও অবদান রাখবে। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে গতকাল বিকালে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনায় তিনি এসব কথা বলেন। 

যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গতকাল সারা দেশে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত হয়েছে। দেশের সব সেনানিবাস, নৌ ঘাঁটি ও স্থাপনা এবং বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সশস্ত্র বাহিনী সংশ্লিষ্ট মসজিদগুলোতে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের শুরু হয়। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত ও তাদের পরিবারকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হয় তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে। দেওয়া হয় শান্তিকালীন সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী পদক এবং অসামান্য সেবা পদক। সশস্ত্র বাহিনীর সব পদস্থ কর্মকর্তা ও দেশের সম্মানিত নাগরিকদের নিয়ে ঢাকার সেনাকুঞ্জে এক বৈকালিক সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। ঢাকা ছাড়াও সাভার, বগুড়া, ঘাটাইল, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, যশোর, রংপুর, খুলনা এবং রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসগুলোয়ও ছিল নানান আয়োজন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২১ নভেম্বর  সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী গঠন করে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান শুরু করা হয়। স্বাধীনতার পর প্রতিবছর এই ঐতিহাসিক দিনটিকে সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে উদযাপন করা হচ্ছে। গতকালের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানোর মাধ্যমে। এর পর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়া, নৌবাহিনী প্রধান ভাইস এডমিরাল এম ফরিদ হাবিব এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল মোহাম্মদ ইনামুল বারী নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে তিন বাহিনী প্রধান বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বীরশ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকারী এবং নির্বাচিত সংখ্যক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় ২০১৩-২০১৪ সালে সশস্ত্র বাহিনীর শান্তিকালীন সেনা/নৌ/বিমান বাহিনী পদক এবং অসামান্য সেবা পদকপ্রাপ্ত সদস্যদের প্রধানমন্ত্রী পদকে ভূষিত করেন।  

বিকালে প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কর্তৃক ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে এক বৈকালিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করে। সংবাদপত্রে প্রচার হয় বিশেষ ক্রোড়পত্র। ঢাকার বাইরে দেশের অন্যান্য সেনা গ্যারিসন, নৌ জাহাজ ও স্থাপনা এবং বিমান বাহিনী ঘাঁটিতেও বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ঢাকা (সদরঘাট), নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশালে বিশেষভাবে সজ্জিত নৌবাহিনীর জাহাজগুলো দিনব্যাপী সর্বসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। সশস্ত্র বাহিনীর পরিচালনাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ রচনা, চিত্রাঙ্কন এবং কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকায়নের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর : সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০১৪ উপলক্ষে বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারের সদস্যবর্গ এবং বীরউত্তম, বীরবিক্রমসহ নির্বাচিত খেতাবপ্রাপ্তদের সম্মানে এক সংবর্ধনায় ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনী যাতে গোটা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে, এ লক্ষ্যে বর্তমান সরকার এ বাহিনীর অধিকতর উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের পদক্ষেপ নিয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত ১৯৭৪-এর প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে আমরা ফোর্সেস গোল-২০৩০ নির্ধারণ করেছি। তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর কার্যক্রম এখন আর কেবল বাংলাদেশেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারিত হচ্ছে। তারা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের মাধ্যমে বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে। তিনি এর আগে অনুষ্ঠানে সাত বীরশ্রেষ্ঠর নিকটাত্মীয়সহ ৫৯ জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীর হাতে উপহার হিসেবে সম্মানী চেক, মোবাইল ফোন সেট ও শাল তুলে দেন। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা দেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিকুল হক। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক এবং সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়া, নৌবাহিনী প্রধান ভাইস এডমিরাল এম ফরিদ হাবিব, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল মোহাম্মদ ইনামুল বারী ও উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।  

পদক বিতরণ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩-১৪ সালের জন্য বীরত্ব ও সাহসিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ সশস্ত্র বাহিনীর ২৬ জন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার হাতে ‘বাহিনী পদক’ ও ‘অসামান্য সেবা পদক’ তুলে দেন। এর মধ্যে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়া, নৌবাহিনী প্রধান ভাইস এডমিরাল এম ফরিদ হাবীব, বিমান বাহিনী প্রধান মোহাম্মদ ইনামুল বারী, সাবেক সেনাপ্রধান মোহাম্মদ আবদুল মুবীন, সাবেক নৌ বাহিনী প্রধান জহির উদ্দিন আহমেদ, সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান শাহ মো. জিয়াউল রহমান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীসহ ১৪ জনকে ‘বাহিনীর পদক’ পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া ১২ জনকে দেন ‘অসামান্য সেবা পদক’। সেনাকুঞ্জে প্রধানমন্ত্রী : বিকালে সংবর্ধনা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেনাকুঞ্জে এসে পৌঁছলে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়া, নৌবাহিনী প্রধান ভাইস এডমিরাল এম ফরিদ হাবিব, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল মোহাম্মদ ইনামুল বারী এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক সস্ত্রীক তাকে স্বাগত জানান। এর পর নির্ধারিত ভাষণ শেষে প্রধানমন্ত্রী সংবর্ধনা স্থলে ঘুরে ঘুরে আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং চা চক্রে মিলিত হন। প্রাণবন্ত এ অনুষ্ঠানে তিনি এক ঘণ্টা ছিলেন। এই সংবর্ধনায় উপস্থিত ছিলেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি এম মোজাম্মেল হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ, ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, মন্ত্রী ও মন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি, সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার রকিবউদ্দীন আহমদ ও নির্বাচন কমিশনার, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূত, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, প্রতিরক্ষা সচিব, ঢাকা এলাকার সংসদ সদস্য, বাহিনীত্রয়ের সাবেক প্রধান, ২০১৪ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, স্বাধীনতা যুদ্ধের সব বীরশ্রেষ্ঠের উত্তরাধিকারী, স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ঢাকা এলাকায় বসবাসরত খেতাবপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও তাদের উত্তরাধিকারী, উচ্চপদস্থ বেসামরিক কর্মকর্তা এবং তিন বাহিনীর চাকরিরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। বিটিভি অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে।  

ছিলেন না খালেদা জিয়া : প্রতি বছর সশস্ত্র বাহিনী দিবসে ঢাকার সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়ার সাক্ষাতের একটি সুযোগ তৈরি হয়। কিন্তু এবার তা হয়নি। ছিলেন না বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদও গতকাল সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের এ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন।   

শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী : সশস্ত্র বাহিনী দিবসে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। গতকাল সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক আবদুল হামিদ এবং পরে প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ হাসিনা পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তারা পুষ্পস্তবক অর্পণের পর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী ও বিমান বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল সামরিক অভিবাদন জানায়। তখন বিউগলে অন্তিম সুর বেজে ওঠে। শ্রদ্ধা জানানো শেষে উভয়ই দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন। শিখা অনির্বাণ প্রাঙ্গণে পৌঁছলে তিন বাহিনীর প্রধান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার তাকে স্বাগত জানান। শ্রব্ধা জানানো শেষে প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে (এএফডি) যান। সেখানে তিন বাহিনীর প্রধানরা তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।   

রাষ্ট্রপতি সকাশে তিন বাহিনী প্রধান : বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়া, নৌ বাহিনী প্রধান ভাইস এডমিরাল এম ফরিদ হাবিব ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল এম ইনামুল বারী গতকাল সাক্ষাৎ করেন। এ সময় রাষ্ট্রপতি সশস্ত্র বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করেন। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিব এ সময় উপস্থিত ছিলেন।  

সেনাপ্রধানের সংবর্ধনা : সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়া গতকাল ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স ক্লাবে মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য খেতাবপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর গর্বিত সদস্য বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি হামিদুর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোহাম্মদ মোস্তফার নিকটাত্মীয়সহ তিন বীরউত্তম, ছয় বীরবিক্রম ও ১১ বীরপ্রতীক এবং তাদের নিকটাত্মীয়দের সম্মানে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় শেষে উপহার সামগ্রী তুলে দেন। সেনাসদরসহ ঢাকায় কর্মরত ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।   

বিমান বাহিনী প্রধানের সংবর্ধনা : বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল মোহাম্মদ ইনামুল বারী গতকাল তেজগাঁওয়ের বিমান বাহিনীর ফ্যালকন হলে স্বাধীনতা যুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সম্মানে এক সংবর্ধনার আয়োজন করেন। এতে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের স্ত্রী মিলি রহমানসহ বিমান বাহিনীর বীরউত্তম, বীরপ্রতীক পদকপ্রাপ্তদের ও তাদের আত্মীয়দের সঙ্গে বিমান বাহিনী প্রধান কুশল বিনিময় করেন এবং উপহার সামগ্রী তুলে দেন।  অনুষ্ঠানে প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসাররাসহ বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

নৌ বাহিনী প্রধানের সংবর্ধনা : নৌ বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত ২১ জন বীর সদস্যকে সংবর্ধনা প্রদান করেন নৌ বাহিনী প্রধান ভাইস এডমিরাল এম ফরিদ হাবিব। গতকাল বনানীর নৌ সদর সাগরিকা হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিনের পরিবারসহ পাঁচজন বীরউত্তম, সাতজন বীরবিক্রম, আটজন বীরপ্রতীক মুক্তিযোদ্ধা, তাদের  সন্তান ও পরিবারবর্গের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে একাত্তরের সব শহীদ মুক্তিযোদ্ধার আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সিলেটে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা : সশস্ত্র বাহিনী দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা জানিয়েছে সিলেটের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। গতকাল বিকালে জালালাবাদ সেনানিবাসে সিলেট বিভাগের শতাধিক মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী। স্বাগত বক্তব্য দেন ১৭ পদাতিক ডিভিশনের কমান্ড্যান্ট এসআইএন্ডটি মেজর জেনারেল মাহফুজুর রহমান।

সর্বশেষ খবর