সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা
ডা. সুমির মৃত্যু

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে আত্মহত্যা, বাবা বললেন সাজানো

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে আত্মহত্যা, বাবা বললেন সাজানো

যশোর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খান টিপু সুলতানের পুত্রবধূ ডা. শামারুখ মাহজাবিন সুমির আত্মহত্যার রিপোর্ট তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন বাবা নুরুল ইসলাম। গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ এ মৃত্যুকে 'আত্মহত্যা' বলে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার পর তিনি এ প্রত্যাখ্যানের কথা জানিয়েছেন।

এদিকে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দিয়ে অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ বলেছেন, ময়নাতদন্তের জন্য যেসব নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, তার সবগুলোর রিপোর্টই আমাদের হাতে এসেছে। এতে দেখা গেছে, মাহজাবিন আত্মহত্যা করেছেন। তার হাতে যে তিনটি কাটা দাগ পাওয়া গেছে তা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, তিনি নিজেই হাত কাটার চেষ্টা করেছেন। তিনি জানান, গতকাল বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সিলগালা অবস্থায় ধানমন্ডি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে সুমির বাবা নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি আগেই আশঙ্কা করেছিলাম ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সঠিক হবে না। এই রিপোর্ট প্রভাবিত করা হবে। আমার আশঙ্কাই সত্যি হলো। আমি এই রিপোর্ট মানি না। আমরা পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করব।' তিনি অভিযোগ করে বলেন, এর আগে সুরতহাল রিপোর্টকেও প্রভাবিত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ডা. সুমিকে গত ১৩ নভেম্বর বেলা ২টার দিকে অচেতন অবস্থায় ধানমন্ডির সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার শাশুড়ি জেসমিন আরা বেগম। কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমিকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি ধানমন্ডির ৬ নম্বর রোডের ১৪ নম্বর বাসার তৃতীয় তলায় শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্বামীর সঙ্গে থাকতেন। পারিবারিক কলহের জের ধরে শ্বশুর-শাশুড়ি তাকে হত্যা করেন বলে অভিযোগ করেন সুমির বাবা নুরুল ইসলাম। এ ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য টিপু সুলতান দম্পতি ও স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়। মামলায় টিপু সুলতান দম্পতি জামিনে এবং ছেলে কারাগারে রয়েছেন।

 

 

সর্বশেষ খবর