বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা
অধ্যাপক লিলন হত্যা

আদালতে অভিযোগ অস্বীকার পাঁচ আসামির

আদালতে অভিযোগ অস্বীকার পাঁচ আসামির

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. এ কে এম শফিউল ইসলাম লিলন হত্যায় নিজেদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার পাঁচ আসামি। পৃথক তিনটি আদালতে গতকাল পাঁচজনকে তোলা হয়। আদালত ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করতে চাইলে আসামিরা নিজেদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন। ফলে আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড না করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের উপকমিশনার (সদর) তানভীর হায়দার চৌধুরী ও উপকমিশনার (পূর্ব) এ কে এম নাহিদুজ্জামান। তানভীর হায়দার চৌধুরী জানান, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১-এর বিচারক খালেদ হাসানের আদালতে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার আরিফুল ইসলাম মানিক ও সবুজ শেখ, ম্যাজিস্ট্রেট জয়ন্তী রানী দাসের আদালতে আবদুল্লাহ আল মামুন ও সাক্ষী অমল মহন্তকে এবং ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আকতারের আদালতে আবদুস সামাদ পিন্টু ও সিরাজুল ইসলাম কালুকে গতকাল হাজির করে নগরীর মতিহার থানা পুলিশ। তাদের গ্রেফতার করেছিল র‌্যাব। র‌্যাবের কাছে তারা হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছিল। পুলিশের কাছেও হত্যার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের দায় স্বীকার করে। এরপর তাদের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতে বিচারকের খাস কামরায় দুপুর ১২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত আসামিরা ছিলেন। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে তারা রাজিও হন। তবে হঠাৎ করেই পাঁচ আসামি এ হত্যায় তারা জড়িত নন বলে বিচারকের কাছে দাবি করেন। এরপর বিচারকরা তাদের জবানবন্দি গ্রহণ না করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদিকে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার পাঁচ আসামি প্রথমে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়ে পরে তা দিতে অস্বীকার করায় এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন নিয়ে নতুন জটের সৃষ্টি হয়েছে। আদালত থেকে পাঁচ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর পর এ নিয়ে পুলিশ কমিশনারের বাসভবনে জরুরি বৈঠকে বসেন কর্মকর্তারা। হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ নতুন পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন।

 

সর্বশেষ খবর