বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা
অধ্যাপক লিলন হত্যা

মামলা তদন্তে মত পাল্টিয়েছে পুলিশ

মামলা তদন্তে মত পাল্টিয়েছে পুলিশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক এ কে এম শফিউল ইসলাম লিলন হত্যা মামলার তদন্তে মত পাল্টিয়েছে পুলিশ। জঙ্গি সংগঠনের পাশাপাশি শিবিরের জড়িত থাকার দাবি এত দিন করে আসছিলেন নগর পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা। তবে গতকাল বলা হয়েছে, র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া যুবদল নেতা-কর্মীরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
গতকাল গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়ে নগর পুলিশ কমিশনার মো. শামসুদ্দিন জানান, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে রাবি শিক্ষক লিলন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। র‌্যাবের হাতে গ্রেফতারকৃতরা যে তথ্য দিয়েছে তা এখন মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। এখন শিক্ষক লিলনের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের বিষয়টি প্রাধান্য পাচ্ছে। তবে তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে দাবি করলেও পুরো রহস্য উদঘাটনের দাবি করেননি তিনি।
র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া আরিফুল ইসলাম মানিক, সবুজ শেখ, আবদুল্লাহ আল মামুন, আবদুস সামাদ পিন্টু ও সিরাজুল ইসলাম কালুকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন জানায় পুলিশ। তবে আদালতে হাজির হওয়ার পর তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে অস্বীকার করে। এর পরই মূলত এ মামলার তদন্তে মত পাল্টায় পুলিশ। এত দিন পুলিশ জঙ্গি ও শিবির এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করে এলেও গতকালই প্রথম র‌্যাবের পক্ষ নেয়। পুলিশের দাবি, র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। বিভিন্ন গণমাধ্যমে র‌্যাব-পুলিশের বিরোধের যে খবর এসেছে তা সত্য নয় বলেও দাবি করেন পুলিশ কমিশনার।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পূর্ব) এ কে এম নাহিদুজ্জামান জানান, পুলিশ তিন বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত শুরু করেছিল। তদন্ত শুরু করে এখন তার ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এ পর্যন্ত যেসব আলামত ও তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে, তাতে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে গতকাল হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছে সন্দেহে একটি অটোরিকশা উদ্ধার করেছে র‌্যাব।
 র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী সুপার মির্জা গোলাম সারোয়ার জানান, শিক্ষক লিলন হত্যাকাণ্ডের দিন অভিযুক্তরা ওই অটোরিকশায় এসেছিল বলে তাদের কাছে তথ্য আছে। এ কারণে অটোরিকশা চালককে খোঁজা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর