শিরোনাম
শনিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

নতুন মোড়কে আসছে ইয়াবা

নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে ১৫ হাজার পিস উদ্ধার

নতুন মোড়কে আসছে ইয়াবা

মিয়ানমার থেকে এবার নতুন মোড়কে আসছে সর্বনাশা ইয়াবা। দেখতে বিস্কুটের নীল প্যাকেটের মতো। বিজিবি বলছে, তাদের হাতে এরইমধ্যে এভাবে আসা ইয়াবার চালান ধরা পড়েছে। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় প্রতিদিনই ধরা পড়ছে ইয়াবা। চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জ থেকে গত দুই দিনে ১৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবুজার আল জাহিদ জানান, নতুন মোড়কের গায়ে ইংরেজিতে লেখা থাকছে ‘গ্রিন টি অফ প্যান্ডাস অনলি আর’। এরকম উদ্ধার করা প্রতি প্যাকেটে ১০০০ করে ইয়াবা পাওয়া গেছে এবং প্রতিটি হালকা কমলা রংয়ের ট্যাবলেটের গায়ে ‘আর’ লেখা ছিল। খোঁজ নিয়ে ধারণা পাওয়া গেছে, সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অবাধে পাচার হয়ে আসছে ইয়াবা। তার পাশাপাশি সাগর পথে ইয়াবা পাচার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা সাগর পথকে নিরাপদ রুট হিসেবে বেছে নিয়েছে। বিভিন্ন সূত্র মতে, ইয়াবার বিস্তার কিছুতেই রোধ করা যাচ্ছে না। অভিজাত আবাসিক এলাকা থেকে শুরু করে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বাণিজ্যিক এলাকাসহ পাড়া-মহল্লায় হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে ইয়াবা। অবশ্য ৬ মাস আগে প্রশাসনের ইয়াবাবিরোধী কঠোর অবস্থানের কারণে পাচার কিছুটা হ্রাস পেয়েছিল। তবে এখন আবার আগের অবস্থা ফিরে এসেছে। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ইয়াবাসহ পাচারকারীরা আটক হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে গডফাদাররা। উল্লেখ্য, গত ২৭ নভেম্বর কাঁকড়ার বস্তার ভেতর থেকেও ৬ হাজার পিস ইয়াবার চালান আটক করেছিল বিজিবি।
১৪ রোহিঙ্গাকে পুশব্যাক : টেকনাফ থেকে গতকাল ১৪ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে স্বদেশে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি। এর কয়েক ঘণ্টা আগে সীমান্ত পেরিয়ে এরা বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। বিজিবি জানিয়েছে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হোয়াইক্যং বিওপি চৌকির হাবিলদার ইলিয়াছ আকন্দের নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা চেকপোস্টে গাড়ি তল্লাশি করে মিয়ানমারের এই ২৪ জন নারী-পুরুষকে আটক করে। দুপুরে এদের হোয়াইক্যং লম্বাবিল সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারে পুশব্যাক করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে ১৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার : নারায়ণগঞ্জে ১০ হাজার ৫৬ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে র‌্যাব-১১। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের অন্যতম হোতাসহ চারজনকে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- সাদেকুর রহমান, বাদল হাওলাদার, কাভার্ডভ্যান চালক মো. চঞ্চল ও হেলপার দীপঙ্কর রায়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এ বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। গতকাল সকালে র‌্যাব-১১ আদমজীর সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযানের নেতৃত্বে থাকা র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান জানান, কক্সবাজার থেকে ইয়াবার এই বড় চালানটি আসার খবর পায় র‌্যাব। এই চালানের মূল হোতা সাদেকুর রহমান। সাদেকের সঙ্গে ভ্যান মালিক বাদল হাওলাদারের চুক্তি হয় কক্সবাজার থেকে চালানটি মতিঝিলে পৌঁছে দেওয়ার। ১০ হাজার ৫৬ পিস ইয়াবার এই চালান কাভার্ডভ্যানের বডিতে বিশেষ স্থানে লুকিয়ে রাখা হয়। চালক চঞ্চল ও হেলপার দীপঙ্কর ইয়াবার এই চালান নিয়ে রওনা দেয়। আর কাভার্ডভ্যানের মালিক বাদল সৌদিয়া পরিবহনের একটি বাসে চড়ে রওনা দেয়। সংবাদ পেয়ে র‌্যাব বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুর এলাকায় বাস থামিয়ে প্রথমে বাদলকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইয়াবা বহনকারী কাভার্ডভ্যানটি থামিয়ে চালক ও হেলপারকে আটক করা হয়। এ সময় গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বডির গোপন স্থানে কৌশলে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ইয়াবাগুলো উদ্ধার করা হয়। পরে বাদলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মতিঝিল থেকে মূল ব্যবসায়ী সাদেকুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।
চট্টগ্রাম : বাকলিয়া থানাধীন রাজাখালী এলাকায় একটি কাভার্ডভ্যানে (ঢাকা মেট্রো ট-১৮-০৮০৪) অভিযান চালিয়ে সিলিন্ডার বক্সের ভেতর থেকে সাড়ে চার হাজার পিস ইয়াবাসহ চালক ও সহকারীকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- শাহ আলম ও ইমাম হোসেন। গতকাল সকালে বাকলিয়া থানা এ অভিযান চালায়। পুলিশ এ সময় কাভার্ডভ্যানটিও আটক করে। বাকলিয়া থানার ওসি মো. মহসিন জানান, কক্সবাজার থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে ওই কাভার্ডভ্যানে তল্লাশি চালিয়ে ইয়াবাগুলো উদ্ধার করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর