কুষ্টিয়ার মিরপুরে শুক্রবার রাতে এক আওয়মী লীগ কর্মী নিহতের জেরে ২২টি বাড়ি হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশি পাহারার মধ্যে বাড়িঘরে হামলা ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। অনেকে আবারও হামলার আশঙ্কায় বাড়ির আসবাবপত্র নিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। এদিকে গতকাল সকালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ বিকালে দাফন করা হয়েছে। তবে বিকাল পর্যন্ত হত্যা ও বাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পোড়াদহ গ্রামে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নুরুল ইসলামসহ (৫০) চারজন গুরুতর আহত হন। রাত পৌনে ৮টার দিকে নুরুল ইসলাম কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মারা যাওয়ার খবর পেয়ে এলাকায় তার (নুরুল ইসলাম) সমর্থকরা রাত ১০টার দিকে পারভেজ ইসলামের সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। পরে তারা একে একে ১২টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন। এতে বাড়িগুলোর আসবাবপত্রসহ সব খাদ্যশস্য পুড়ে যায়। বাড়ির বাইরে রাখা ধানের খড়ের গাদায় গতকাল দুপুর পর্যন্ত আগুন জ্বলতে দেখা যায়। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পোড়াদহ নতুন বাজার এলাকায় নুরুল ইসলামের প্রায় ৩০-৪০ জন লোক আবারও দেশি লাঠিসোঁটা নিয়ে পোড়াদহ নতুন বাজার এলাকায় পারভেজ ইসলামেরসহ প্রায় ১০ বাড়িতে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় বাড়িগুলোর লোকজন প্রাণভয়ে পালিয়ে যান। শাহিনুজ্জামান নামে এক ব্যক্তি বলেন, তিনি মতিয়ার রহমান নামে পারভেজ ইসলামের এক আত্মীয়ের বাড়ির ভাড়াটে। ওই বাড়িতে আরও তিনটি পরিবার থাকত। হামলাকারীরা ভাড়াটে বাড়িতেও হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। এ ঘটনার পর দুপুরের দিকে হামলার শিকার পরিবারগুলো বাকি আসবাবপত্র নিয়ে কান্নাকাটি করতে করতে অন্যত্র চলে গেছে। মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী জালাল উদ্দিন এ প্রসঙ্গে বলেন, বিকাল ৫টা পর্যন্ত কোনো ঘটনারই মামলা হয়নি। এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোয় রাতে ও দিনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।
