সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা
নৌবাহিনীর নতুন অফিসারদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

ভৌগোলিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করুন

ভৌগোলিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করুন

চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ভৌগোলিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন এবং নৌবাহিনীর সুনাম ও ঐতিহ্য ক্ষুণ্ন হয় এমন কিছু না করতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নতুন কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খবর বাসসের।
চট্টগ্রামে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর শীতকালীন    রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজের ভাষণে গতকাল তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী একটি খোলা জিপে একাডেমিতে মিডশিপম্যান, ২০১৩-এর একটি ব্যাচ এবং ডিরেক্ট এন্ট্রি অফিসার্স (ডিইও), ২০১৪-এর বি-ব্যাচের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। এ সময় নৌবাহিনী প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল এম ফরিদ হাবিব ও বাংলাদেশ নৌবাহিনী একাডেমির কমান্ড্যান্ট কমোডর নাজমুল হাসান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধানরা, কূটনীতিক, পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা এবং মিডশিপম্যানদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ক্যাডেটদের জাতির ভবিষ্যৎ নেতা উল্লেখ করে বলেন, তারা দেশের স্বার্থকে ব্যক্তিগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে স্থান দেবেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা এমন কোনো কাজ করবেন না, যাতে নৌবাহিনীর সুনাম ও ঐতিহ্য ক্ষুণ্ন হয়।’ প্রধানমন্ত্রী নৈতিক গুণাবলিসহ মানবিক হওয়ার পাশাপাশি নিজেদের দক্ষ কর্মকর্তা হিসেবে গড়ে তুলতে ক্যাডেটদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আপনাদের মনে রাখতে হবে, আপনারা জাতিকে সেবা দিতে যাচ্ছেন। তাই আপনাদের পেশাগত দায়িত্ব ও কর্তব্যের স্বার্থে একজন দক্ষ অফিসার হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।’ শেখ হাসিনা প্রিয় মাতৃভূমির জন্য জীবন উৎসর্গকারী পূর্বসূরিদের ত্যাগ ও গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস স্মরণ করতে ক্যাডেটদের উপদেশ দেন। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উন্নয়নে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের বর্ণনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ফোর্স গোল, ২০৩০-এর আওতায় এ বাহিনীকে ত্রিমাত্রিক একটি কার্যকর বাহিনীতে পরিণত করতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারের মেয়াদে খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে ১৬টি জাহাজ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দুটি হেলিকপ্টার ও দুটি সামুদ্রিক টহল এয়ারক্র্যাফট যুক্ত করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুটি সাবমেরিন নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে। ২০১৬ সালের মধ্যে সাবমেরিনগুলো নৌবাহিনীতে যুক্ত হবে বলে আমরা আশা করছি।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধজাহাজ নির্মাণে বাংলাদেশ স্বনির্ভরতা অর্জন করেছে। খুলনা শিপইয়ার্ড ও নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডে অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ নির্মিত হচ্ছে। নৌবাহিনীর দক্ষ ব্যবস্থাপনায় এগুলোতে প্রকৌশল কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর