সোমবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

ডিসিসি নির্বাচনে গ্রিন সিগন্যাল

* অর্থ বরাদ্দ চেয়ে চিঠি * মার্চ-এপ্রিলে তফসিল * জুনের মধ্যে ভোট

ডিসিসি নির্বাচনে গ্রিন সিগন্যাল

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের কাছ থেকে গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ জন্য চলতি অর্থবছরের মধ্যে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে ইসি সচিবালয়। এদিকে আগামী দুই মাসের মধ্যে সীমানা নির্ধারণ জটিলতা শেষ হতে পারে। এ জন্য ইসি ভোট অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি রাখছে বলে ইসি সচিবালয় নিশ্চিত করেছে।
ইসি কর্মকর্তারা বলেছেন, ঢাকা সিটি করপোরেশনের দুই ভাগে নির্বাচনের জট খুলতে শুরু করেছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থবিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মাহবুব আহমেদকে গতকাল কমিশন সচিব সিরাজুল ইসলাম চলতি অর্থবছরে ডিসিসি নির্বাচনের জন্য অতিরিক্ত ৪৫ কোটি টাকা সংস্থান রাখার অনুরোধ করে চিঠি পাঠিয়েছেন। ইসি কর্মকর্তারা জানান, হালনাগাদ ভোটার তালিকা চূড়ান্ত হয়ে যাচ্ছে ৩১ জানুয়ারি। সেক্ষেত্রে মে-জুনকে নির্বাচনের উপযুক্ত সময় বিবেচনা করা হচ্ছে। এ সময়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনও করার কথা রয়েছে। ডিসিসি দক্ষিণের সীমানা চূড়ান্ত হলে মার্চের শেষে বা এপ্রিলের শুরুতে তফসিল ঘোষণা হতে পারে। এ বিষয়ে কমিশন সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়কে আমাদের রেডি করে রাখতে হবে। হঠাৎ করে সরকার যদি বলে সীমানা নির্ধারণ হয়ে গেছে তখন তো আমাদের কিছু করার থাকবে না। যেহেতু আগে থেকে ডিসিসি নির্বাচনের জন্য টাকা রাখিনি, তাই আগে চেয়ে রাখছি, যাতে প্রস্তুতিটা থাকল। এ ছাড়া ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ঢাকাসহ পুরো দেশের হালনাগাদ তালিকাও চূড়ান্ত হয়ে যাবে। সচিব বলেন, নির্বাচন কেন করা যাচ্ছে না- এ কথা যেন কেউ বলতে না পারে সে জন্য প্রস্তুতি রাখছি আমরা। এখন শুধু বাকি থাকবে সীমানা নির্ধারণ। পুরো কাজে হয়তো এক-দেড় মাস লাগতে পারে। সীমানা নির্ধারণ করে দিলে আমি দুই মাসের মধ্যে নির্বাচন নামিয়ে দিতে পারব। সীমানা নির্ধারণের বিষয়টি একেবারেই সরকারের বলে উল্লেখ করেন সচিব সিরাজুল ইসলাম। ডিসিসি দক্ষিণের সীমানা নির্ধারণে সময় লাগতে পারে বলে জানান স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব। এদিকে স্থানীয় সরকার বিভাগ সচিব মনজুর হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি অন্য জিনিস, আমাদের সীমানা নির্ধারণের অংশটি এখনো ফাইনাল হয়নি। সর্বোচ্চ আরও মাস খানেক লাগতে পারে। সীমানা চূড়ান্ত করতে সর্বোচ্চ দেড়-দুই মাস ধরে নিন। অর্থবিভাগের সচিবের কাছে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল হয় এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশে নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। গত বছরের ১৩ মে আদালত রিট পিটিশনটি খারিজ করে দেন। কিন্তু ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সীমানা জটিলতার কারণে পুনরায় নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। ইসি সচিব অর্থবিভাগের সচিবকে লিখেছেন- সরকার সীমানা নির্ধারণ জটিলতা নিরসন করলে চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ব্যয় নির্বাহের জন্য নির্বাচন ব্যয় খাতে সংস্থানকৃত ৫০ কোটি টাকার অতিরিক্ত আরও ৪৫ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। এ অবস্থায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন ব্যয়সহ  অন্যান্য সব নির্বাচনী ব্যয়ের জন্য চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে মোট ৯৫ কোটি টাকা সংস্থান রাখার অনুরোধ করা হয়। অর্থবিভাগের পরামর্শেই এ চিঠি দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ডিসিসি নির্বাচনের জন্য আলাদা বরাদ্দের দরকার  নেই বলে আগে বলা হয়েছিল। যখন ইসির দরকার হবে তখনই চাইলে দেওয়ার কথা রয়েছে অর্থবিভাগের। কিন্তু নির্বাচন হলে টাকা দিতে যেন সমস্যা না হয় এ জন্য আগেই এ চিঠি দেওয়া হলো।

সর্বশেষ খবর