কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে স্কুলের জমি দখল করে দলীয় অফিস নির্মাণ করেছেন স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা। সামসুল আলম নামের ওই নেতা এলাকায় বেশ প্রভাবশালী ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হওয়ায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতেও সাহস পাচ্ছেন না। স্কুলের জায়গায় দলীয় অফিস নির্মাণ করার ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা সামসুল আলম ওরফে শিবির সামসুল দলীয় লোকজন নিয়ে গত ৫-৬ দিন ধরে ফিলিপনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে অফিস নির্মাণ শুরু করেছেন। বিজ্ঞানাগারের দক্ষিণ দিকে অন্তত ২০ হাত দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট জায়গা দখল করে অফিস নির্মাণ করছেন ওই নেতা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতা সামসুল আলম এর আগে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি করতেন। তিনি চট্টগ্রাম থাকাকালে সেখানে শিবিরের ক্যাডার হিসেবে ব্যাপক কুখ্যাতি অর্জন করেন। গত কয়েক বছর আগে তিনি এলাকায় ফিরে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। সামসুল আলম বর্তমানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের (একাংশের) সাধারণ সম্পাদক। তবে এখনো তিনি এলাকার মানুষের কাছে শিবির সামসুল নামেই পরিচিত। স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা জানান, হঠাৎ উড়ে এসে জুড়ে বসা কথিত নেতা সামসুল আলমের কারণে দিনকে দিন দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। সামসুল আলমের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। প্রধান শিক্ষক তৌহিদ সারওয়ার বলেন, এ বিষয়ে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটিকে অবহিত করা হলে কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সভায় আপাতত অস্থায়ী ভিত্তিতে অফিস তৈরির বিষয়টিকেই সমর্থন করা হয়েছে। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের জায়গায় দলীয় অফিস নির্মাণ করা অন্যায়। কিন্তু পারিপার্শ্বিকতার কারণে অস্থায়ী ভিত্তিতে অফিস নির্মাণ বন্ধ করা যাচ্ছে না।