শিরোনাম
শনিবার, ২৩ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা

কাজ শুরুর আগেই ব্যয় বাড়ল ৫০ কোটি টাকা!

প্রয়োজনীয় উদ্যোগের অভাবে রাজশাহীতে দুটি সড়ক উন্নয়নের কাজ শুরু না করায় চার বছরে এর ব্যয় বেড়েছে ৫০ কোটি টাকা। দিন যত যাচ্ছে এই ব্যয় তত বাড়ছে। অথচ তহবিলে সাড়ে ৬৩ কোটি টাকা অলস পড়ে আছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, রাজশাহী মহানগরীর উপশহর মোড় থেকে সোনাদীঘি ও মালোপাড়া হয়ে সাগরপাড়া বটতলা পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পে চার বছর আগে অর্থ বরাদ্দ দেয় সরকার। কিন্তু এখন পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তের কোনো উদ্যোগই নিতে পারেনি রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। এ ছাড়া, রাজশাহী-নওগাঁ প্রধান সড়ক থেকে মোহনপুর রাজশাহী-নাটোর সংযোগ সড়কটি একনেকে অনুমোদন পায় ২০১১ সালের ২০ ডিসেম্বর। ওই প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই প্রকল্পটির কাজও শুরু হয়নি।

সরকার অনুমোদন দিয়ে অর্থ বরাদ্দ দিলেও গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হয়নি। চার বছর আগে নেওয়া এই প্রকল্প দুটি বাস্তবায়নে সিটি করপোরেশন এখনো কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় শুধু ব্যয় বেড়েছে। সিটি করপোরেশনের তহবিলে সাড়ে ৬৩ কোটি টাকা অলস পড়ে আছে। তবে দিন যত যাচ্ছে ব্যয়ের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।

রাসিকের প্রকৌশল বিভাগ জানায়, নগরীর উপশহর মোড় থেকে সোনাদীঘি ও মালোপাড়া হয়ে সাগরপাড়া বটতলা পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয় ৭২ কোটি ১৬ লাখ টাকা। একনেকের অনুমোদনের পর ২০১৩ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। সিটি করপোরেশনের তহবিলে টাকা এলেও সড়কটি এখনো প্রশস্ত করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে রাসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ জানান, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ শুরু করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে তারা বাধার মুখে পড়েন। ওই সড়কের পাশের তিনজন জমির মালিক আদালতে মামলা করায় সড়কটির কাজ আটকে থাকে। তবে আইনি জটিলতা কাটিয়ে শিগগিরই ওই সড়কের কাজ শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হবে। এদিকে রাজশাহী-নওগাঁ প্রধান সড়ক থেকে মোহনপুর রাজশাহী-নাটোর সংযোগ সড়কটি একনেকে অনুমোদন পায় ২০১১ সালের ২০ ডিসেম্বর। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয় ১২২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রথম পর্যায়ে সরকার সাড়ে ৩২ কোটি বরাদ্দ দেয়। সড়ক সংস্কারে কোনো বাধা না থাকলেও এখনো ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করতে পারেনি রাসিক। রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক জানান, ২০১১ সালের হিসাবে প্রকল্পগুলোর ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাজ শুরু করতে না পারায় ব্যয় বাড়ছে। প্রকল্প দুটি শুরু করতে আরও দেরি হলে ব্যয় আরও বাড়বে। সব প্রক্রিয়া শেষ করে দরপত্র আহ্বান করতে যে সময় প্রয়োজন, তাতে প্রকল্প দুটিতে কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ করতে হবে।

সর্বশেষ খবর