মঙ্গলবার, ১৬ জুন, ২০১৫ ০০:০০ টা

যুক্তরাষ্ট্রে যুবলীগের আশ্রয়ে মিল্কী হত্যার আসামি

যুক্তরাষ্ট্রে যুবলীগের আশ্রয়ে মিল্কী হত্যার আসামি

যুক্তরাষ্ট্রে একটি আলোচনা সভায় মিল্কী হত্যা মামলার আসামি চঞ্চল -সংগৃহীত

যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক খান মিল্কী হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চল যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সেখানে তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতাদের আশ্রয়ে রয়েছেন বলে বাংলাদেশের একটি অনলাইন পত্রিকা গতকাল তাদের একটি প্রতিবেদনে দাবি করেছে। সেখানে যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সব ধরনের অনুষ্ঠানেই চঞ্চলকে দেখা যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজ দলের একজন নেতাকে খুনের আসামি এভাবে প্রশ্রয় পাওয়ায় তাদের অনেকেই বিব্রত। দেশে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার হয়ে মিল্কী হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত এ আসামি এখন কাগজপত্রে সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য পেশ করে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। অভিযোগ উঠেছে সেখানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক তারিকুল হায়দার চৌধুরীর আশ্রয়ে আছেন। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক তারিকুল হায়দার চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, চঞ্চলের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। সর্বশেষ গত ৭ জুন ওয়াশিংটনে আওয়ামী যুবলীগের অনুষ্ঠানে আয়োজকদের সঙ্গেই মঞ্চে দেখা গেছে চঞ্চলকে। এর আগে গত ১৩ মে ফ্লোরিডা স্টেট আওয়ামী যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা অনুষ্ঠানের মঞ্চে হাস্যোজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল তার। এ ছাড়া গত ২৫ এপ্রিল নিউইয়র্কে একটি মদেও দোকানে (বার) মারামারি করে তারিকুল ও চঞ্চল দুজনই গ্রেফতার হয়েছিলেন। কয়েকদিন পর তারা জামিন পান বলে নেতা-কর্মীরা জানান। সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চল ঢাকা মহানগর যুবলীগের (উত্তর) সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। মিল্কী হত্যায় অভিযোগপত্রে তার নাম এলে তাকে বহিষ্কার করা হয়। নেতা-কর্মীরা জানান, এর পরপরই প্রভাবশালী কিছু  নেতার সহায়তায় ভারত-সিঙ্গাপুর হয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যান।
অনলাইন পত্রিকাটির পক্ষ থেকে হত্যার শিকার মিল্কীর স্ত্রী ফারজানা খানমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, তাতে তিনি বলেন, সব সময় তারা আতঙ্কে থাকেন। সেই সঙ্গে হত্যার এতদিনেও বিচারের তেমন কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশায় পরিবারের সদস্যরা। ফারজানা অভিযোগ করেন, যারা এ হত্যাকাণ্ডের আসামি তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার আগেই তারা জামিনে বের হয়ে গেছেন। ২০১৩ সালের ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশান শপার্স ওয়ার্ল্ডের সামনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন মিল্কী। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করে গুলশান থানায় মামলা করেন মিল্কীর ভাই মেজর রাশেদুল হক খান।
হত্যার ঘটনার পর এ মামলার অন্যতম আসামি এস এম জাহিদ সিদ্দিক তারেক ৩০ জুলাই র‌্যাবের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের বন্দুকযুদ্ধে মারা যান। মিল্কী হত্যাকাণ্ডের পর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চঞ্চলকে খুঁজে পাননি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

সর্বশেষ খবর