মঙ্গলবার, ১৬ জুন, ২০১৫ ০০:০০ টা

রমজানে সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ

আইজিপি

আসন্ন রমজানে রাজধানীসহ সারা দেশে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সাধ্যের সর্বোচ্চ দিয়ে দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ। বিশেষ করে রাজধানীকে যানজটমুক্ত রেখে রমজান ও ঈদে মানুষ যাতে কেনাকাটা, ব্যাংক লেনদেন নিশ্চিন্তে করতে পারে এ জন্য শপিং মল ও ব্যাংকগুলোয় সিসিটিভি স্থাপন এবং পুলিশ মোতায়েন থাকবে। মহাসড়ক ও ফেরিঘাটগুলোয় কোনো অব্যবস্থাপনা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যকস্থা নেওয়া হবে, এমনকি পুলিশের কোনো সদস্য এ ধরনের কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল পুলিশ সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) এ কে এম শহীদুল হক এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। আসন্ন রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি এসব কথা বলেন। সভায় এসবি-প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, সিআইডি-প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি শেখ হিমায়েত হোসেন, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আইজিপি বলেন, যানজট নিয়ন্ত্রণে ঢাকার বাইরে থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না। মহাসড়কে ডাকাতি প্রতিরোধ এবং যানজট নিরসনে হাইওয়ে ও জেলা পুলিশ বিশেষ তৎপর থেকে দায়িত্ব পালন করবে। পাশাপাশি ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ যাতায়াতের জন্য রেল স্টেশন, বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে পুলিশ, মালিক ও শ্রমিকনেতা এবং কমিউনিটি পুলিশের সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় কমিটি করা হবে। আইজিপি আরও বলেন, ‘আমরা সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্টদের অতিসত্বর রাজধানীর ভাঙা রাস্তাঘাটগুলো মেরামত করার জন্য বলেছি। একই সঙ্গে রমজানে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ রেখে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্যও বলেছি; যাতে এসব কারণে রাজধানীতে যানজট সৃষ্টি না হয়।’ তিনি জানান, রমজানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে পুলিশের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
ত্রুটির কারণে বিদ্যুতের কোনো সমস্যা সৃষ্টি হলে আগে থেকেই জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে। পুলিশপ্রধান আরও বলেন, ‘রমজান ও ঈদের সময় বাংকগুলোতেও সিটিটিভি স্থাপন করার জন্য আমরা বলেছি। রমজান ও ঈদ উপলক্ষে বৃদ্ধি পাওয়া অজ্ঞান ও মলম পার্টি প্রতিরোধে পুলিশের গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ ছাড়া জাল টাকা তৈরি চক্রের বিরুদ্ধেও অভিযান শুরু হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে।’ সভায় সব শিল্পপ্রতিষ্ঠান বিশেষ করে গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস পরিশোধ নিয়ে যাতে কোনো অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সে জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং অন্যান্য ব্যবসায়ী সংগঠনের মালিক-শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

সর্বশেষ খবর