মঙ্গলবার, ১৬ জুন, ২০১৫ ০০:০০ টা
সাফল্য

রাজীবের ভাগ্য বদলে দিয়েছে কবুতর

শখের বশে কবুতর পালন করতে গিয়ে ভাগ্য বদলে দিয়েছে রাজীব দানিয়ালের। এখন আর্থিক কষ্ট আর নেই। চাকরি খুঁজতে হয় না। বরং তার কবুতর পালনের খামারে দুজনকে চাকরি দিয়েছেন। তিনি এখন স্বাবলম্বী। এখন প্রতি মাসে আয় হয় কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা। শ্রম কম আয় বেশি এ কবুতর পালনে।     তবে মনোবল, ধৈর্য থাকলে এটাতে স্বাবলম্বী হওয়া সহজ বলে তিনি মনে করেন। দিনাজপুর শহরের মুদিপাড়ার কবুতর পালনের সফল যুবক রাজীব দানিয়াল সবার কাছে এখন অনুকরণীয়। তিনি দিনাজপুর পায়রা ঘর নামে একটি খামার গড়ে তুলেছেন। এখানে দেশি-বিদেশি ২৫ প্রজাতির কবুতর রয়েছে। ২ জোড়া কবুতর থেকে এখন ২০০ জোড়া কবুতর তার খামারে। ১ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা দামের কবুতর রয়েছে তার খামারে। রাজীব জানান, ২০০৪ সালে শখের বশে একজোড়া কবুতর বাড়িতে পালন করার জন্য কিনে আনেন। এসএসসি পাস করার পর সংসারের আর্থিক সচ্ছলতা আনতে চাকরির চেষ্টা করে লাভ হয়নি। এ সময় দু-এক জোড়া কবুতর বিক্রি করতে থাকেন। বিক্রির চাহিদা বাড়ছে, আয়ও ভালো। তখন থেকে কবুতর পালনকেই আয়ের উৎস মনে করে পুরোদমে নেমে পড়েন। আর এই কবুতর পালন করতে গিয়েই দিনাজপুর পায়রা ঘর নামে কবুতরের খামার গড়ে তোলেন। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। তিনি বলেন, এখন এ খামারে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা বেতনে দুজন কর্মচারীর কর্মসংস্থান হয়েছে। কবুতরের পাশাপাশি খাঁচাও বিক্রি করা হয়। নিজ বাড়িতে গড়া এই খামারে বিভিন্ন প্রজাতির কবুতর দেখতে বা ক্রয় করতে দূর-দূরান্তের মানুষের ভিড় হয়। এখানে হেনা পোর্টার, হেলমেট, লাক্কা, সিরাজী, কিং, স্টেচার, বোখারা, ফিলব্যাক, হোমার, নান, সরপেজ, রয়েল টামলার, রেইন, স্যালোসহ ২৫ প্রজাতির কবুতর রয়েছে। এই খামারে লাক্কা এক হাজার টাকা, হেনা পোর্টার ১৫ হাজার টাকা, হেলমেট সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি মাসে কবুতরের পিছনের খরচ হয় ৩০-৪০ হাজার টাকা; বিক্রি হয় প্রায় এক লাখ টাকা। তারা বাবা রইছ উদ্দিন মারা গেছেন। মা, পাঁচ ভাই ও তিন বোন রয়েছেন। বর্তমানে এ কবুতর খামারে বাড়ির সবাই তাকে সাহায্য করেন।

সর্বশেষ খবর