বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

সিলেটের রাজনীতি এখন

নেত্রীর নির্দেশে উজ্জীবিত আওয়ামী লীগ

সিলেটের রাজনীতি এখন

রাজনীতির মাঠে দেখা নেই প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপির। নেই সরকারবিরোধী আন্দোলন। বর্তমানে ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার মতো অবস্থায় আওয়ামী লীগ। তবু অবসর নেই সিলেট আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের। দলকে আরও সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ করতে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা যে নির্দেশ দিয়েছেন, সে নির্দেশ বাস্তবায়ন নিয়ে বর্তমানে ছক কষছেন শীর্ষ নেতারা। শেখ হাসিনার নির্দেশের আগেই দলকে সংগঠিত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর আরও জোরেশোরে সে প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে চাইছেন তারা। সিলেট আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে রাজনীতির মাঠে দলটির প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি অনেকটাই নিষ্ক্রিয়। রাজপথে তাদের কোনো তৎপরতা নেই। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ গাছাড়া ভাব না দেখিয়ে বর্তমানে পুরোদমে দলকে পুনর্গঠনের দিকে মনোযোগী হয়েছে। গত কয়েক মাস থেকেই জেলা ও মহানগরের আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিট পুনর্গঠনের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে জেলার আওতাধীন অধিকাংশ থানা ও উপজেলায় সম্মেলন করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। মহানগরীর আওতাধীন বেশির ভাগ ওয়ার্ডে সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। ১৮ জুন যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরার পথে সিলেটে ঘণ্টাখানেকের যাত্রাবিরতির সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা জেলা ও মহানগর শীর্ষ নেতাদের দলকে আরও সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ করতে নির্দেশনা দিয়ে যান। এর পর থেকে নেতা-কর্মীরা দল পুনর্গঠনে আরও মনোযোগী হয়েছেন। রমজানে আপাতত ইফতার মাহফিরের মাধ্যমে তারা নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করছেন। ঈদের পর দলকে আরও শক্তিশালী করতে এখন ছক কষে রাখছেন তারা। এদিকে সাংগঠনিকভাবেও বর্তমানে সিলেট আওয়ামী লীগ রয়েছে বেশ শক্তিশালী অবস্থানে। নিয়মিতভাবে দলটি বিভিন্ন তৎপরতা চালাচ্ছে। ৪ জুলাই মহানগর ছাত্রলীগের সম্মেলন কেন্দ্র করে সক্রিয় রয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। এ ছাড়া ইফতারকেন্দ্রিক সাংগঠনিক তৎপরতাও চলছে দলটির। সব মিলিয়ে সিলেট আওয়ামী লীগ বর্তমানে উজ্জীবিত। এ ব্যাপারে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগ বর্তমানে অনেক শক্তিশালী। বিভিন্ন থানা-উপজেলায় নতুন কমিটি আসায় নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর আমরা আরও জোরেশোরে দল পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু করেছি। রমজান শেষে তা আরও জোরদার করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা রুখতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা সক্রিয় ছিল, ভবিষ্যতে যে কোনো অপতৎপরতা রুখতেও তারা রাজপথে থাকবে।’ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া চলছে। রমজানের আগেই মহানগরীর কিছু ওয়ার্ডের সম্মেলন শেষ করা হয়েছে। রমজানের পর বাকিগুলোর সম্মেলন হবে। রমজানে প্রতিটি ওয়ার্ডে ইফতার মাহফিলের মাধ্যমে নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা রাখা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ছাড়াও মহানগরের আওতাধীন সব অঙ্গ, সহযোগী সংগঠনকেও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঈদের পর দল পুনর্গঠনে আমরা সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামব। ভবিষ্যতে কখনো আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নকাজ বাধাগ্রস্ত করতে চাইলে অতীতের মতো সিলেটে আওয়ামী লীগ তা কঠোরভাবে প্রতিহত করবে।’

সর্বশেষ খবর