শুক্রবার, ৩ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

বেড়েই চলেছে নিবন্ধনহীন ফার্মেসি

বেড়েই চলেছে নিবন্ধনহীন ফার্মেসি

চট্টগ্রাম নগর ও ১৪ উপজেলায় প্রতিনিয়ত প্রতিযোগিতা করে গড়ে উঠছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দোকান নিবন্ধনহীন ফার্মেসি। এসব ফার্মেসির বেশির ভাগই বিক্রি করে নকল, ভেজাল ও মানহীন ওষুধ। ওষুধ কিনে গ্রাহকরা যেমন প্রতারিত হন, তেমনি ওষুধ প্রশাসনের নিবন্ধন না থাকায় সরকার প্রতি বছর হারাচ্ছে বড় অঙ্কের রাজস্ব। এসব ফার্মেসি নিবন্ধন ও তদারককারী প্রতিষ্ঠান ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক (ড্রাগ সুপার) কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ড্রাগ সুপার কার্যালয়ের নানা সীমাবদ্ধতায় ফার্মেসিগুলো নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনা যাচ্ছে না।
সরেজিমন দেখা যায়, এ ওষুধ কেবল ফার্মেসিতে নয়, গ্রামের তৃণমূল পর্যায়ে বিক্রি হয় পান, মুদিসহ বিভিন্ন দোকানে। প্রসঙ্গত, ড্রাগ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ, ১৯৮২-এর ৪ নম্বর ধারার ‘ওষুধের রেজিস্ট্রেশন’ শিরোনামে ১ নম্বর ধারায় আছে ‘লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের রেজিস্ট্রেশন ব্যতীত কোনো প্রকারের ওষুধ বিক্রির জন্য বা আমদানি বা বণ্টন বা বিক্রি করা যাবে না।’
চট্টগ্রামের ওষুধ তত্ত্বাবধায়কের (ড্রাগ সুপার) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে নগর ও জেলায় অনুমোদিত ফার্মেসি আছে ৯ হাজার ৫০০। তবে এর প্রায় অর্ধেক ফার্মেসি বন্ধ। অন্যদিকে, ওষুধ তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ে চট্টগ্রামে ১ হাজার ফার্মেসি অনুমোদনহীন আছে বলে দাবি। কার্যত এর চেয়ে কয়েক গুণ বেশি ফার্মেসি আছে, যেগুলো প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। নেই নিবন্ধন, নিয়ন্ত্রণ, তদারকি। তবে ফার্মেসিগুলোর দাবি, বর্তমানে চট্টগ্রামে বৈধ-অবৈধ মিলে প্রায় ৫০ হাজার ফার্মেসি আছে। ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক কে এম মোহসেনিন মাহবুব বলেন, ফার্মেসিগুলো নিবন্ধনের আওতায় আনা গেলে সরকারের অনেক রাজস্ব আসত। তবে এর জন্য লোকবল ও প্রয়োজনীয় সহায়তা দরকার।

সর্বশেষ খবর