সোমবার, ৬ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা
ইউরোজোনে থাকছে না গ্রিস!

‘না’ ভোটই জয়ী

দাতাদের কঠোর কৃচ্ছ্রতার শর্ত মেনে আন্তর্জাতিক ঋণ অথবা তা প্রত্যাখ্যানের মাধ্যমে ইউরোজোন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি- এই দুইয়ের মধ্যে একটিকে বেছে নিতে গণভোটে অংশ নিলেন গ্রিসের নাগরিকরা। ১ কোটি ভোটার তাদের মনোভাব জানালেন। আর মনোভাবে তাদের চরম জাতীয়তাবাদেই প্রকাশ পেয়েছে। দাতাদের শর্ত মানতে রাজি নয় গ্রিস। তাই তো গতকাল তারা সেই মনোভাবকে জানিয়ে দিয়েছেন ‘না’ ভোটের মাধ্যমে। গতকাল রাত সাড়ে ১২টায় প্রাথমিক গণনায় ‘না’ ভোটের জয়ের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। প্রাথমিক ৩৩ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা গেছে ‘না’ ভোট পেয়েছে ৬১ এবং হ্যাঁ ভোট পেয়েছে ৩৯ শতাংশ। গতকাল স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় (আন্তর্জাতিক সময় ০৪০০) এই ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলে একটানা সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। গণভোট সামনে রেখে দেশবাসীর প্রতি ‘না’ ভোট দেওয়ার আহ্বান জানায় সরকার, যদিও সেটা হলে গ্রিসকে ইউরোজোন থেকে বেরিয়ে যেতে হতে পারে বলে হুমকি রয়েছে।  এদিকে ভোটের প্রাথমিক ফলাফলের পরেই ইউরোজোনের সিনিয়র নেতারা আজ জরুরি বৈঠকের ঘোষণা দিয়েছেন। ‘না’ ভোট জয়ী হলে গ্রিসের অবস্থা কী হবে তা আজকের বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হতে পারে। আর আগামী বুধবার ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীরা বৈঠকে বসবেন। তবে ইউরোজোনের নেতারা বিশেষ করে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মরকেল ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ ঘোষণা দিয়েছেন ‘না’ ভোট জয়ী হলে ইউরোজোন কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হতে হবে। আজ রাতে এই দুই নেতা এ বিষয়ে বৈঠক করবেন।

আর্থিক পুনরুদ্ধারের (বেইল আউট) জন্য দাতাদের দেওয়া শর্তগুলো মর্যাদাহানিকর বলে সমালোচনা করে আসছে গ্রিসের ক্ষমতাসীন বামপন্থি সিরিজা পার্টি। গণভোটে শর্তগুলো নাকচ হলে দাতাদের সঙ্গে দ্রুত নতুন চুক্তিতে যেতে সরকারকে সুযোগ করে দেবে বলে দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব বলছে।
অবশ্য আন্তর্জাতিক দাতারা আগেই সতর্ক করেছে, ‘না’ ভোটের বিজয় গ্রিক ব্যাংকগুলোর তহবিল বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং তা ইউরোপের একক মুদ্রা ইউরো থেকে বের হয়ে যাওয়ার পথে নিয়ে যাবে।
২০১০ সাল থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আইএমএফ থেকে দুটি  বেইল আউটে প্রায় ২৪০ বিলিয়ন ইউরো নেয় গ্রিস। এই অর্থে চলতে থাকে দেশটি, যদিও তার জন্য নাগরিকদের অনেক ভোগান্তি  পোহাতে হয়। এ সময়ে পেনশন, বেতন ও সরকারি সেবায় কাটছাঁট হয় গ্রিসে।
নতুন করে সহায়তার জন্য (বেইল আউট) গ্রিসকে কর বাড়ানোর পাশাপাশি জনকল্যাণমূলক ব্যয় কমানোসহ কঠিন আর্থিক পুনর্গঠনের শর্ত দেয় ইউরোজোন। বিবিসি, এএফপি
   

সর্বশেষ খবর