বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

দেশের মানুষের গড় আয়ু ৭০.৪ বছর

দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। ২০০৯ সালের ৬৭.২ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৩ সালে ৭০.৪ বছরে দাঁড়িয়েছে। এক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় নারীদের গড় আয়ু বেশি বেড়েছে। অন্যদিকে পল্লিতে মরণশীলতা বেশি হলেও মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার কমেছে এবং বয়স্ক শিক্ষার হার বেড়েছে। এ ছাড়া সামাজিক বিভিন্ন সূচকে এগিয়েছে দেশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্টাটিসটিকস অব বাংলাদেশ এসভিআরএস-২০১৩ জরিপের প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে-বেড়েছে বর্গকিলোমিটার প্রতি জনসংখ্যার ঘনত্ব। ২০০৯ সালে এটি ছিল ৯৯৩ জন। যা ২০১৩ সালে ১ হাজার ৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে। আর জনসংখ্যা হলো ১৫ কোটি ৪৭ লাখ। ২০০৯ সালে ছিল ১৪ কোটি ৬৭ লাখ। জরিপ অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে দেশে জন্মের হার অনেক কমেছে। ২০০৯ সালে প্রজনন হার ছিল ২.১৫। ২০১৩ সালে হয়েছে ২.১১। আর বাংলাদেশে প্রতি হাজারে ৯ জন মানুষ কোনো না কোনোভাবে প্রতিবন্ধী। মহিলার চেয়ে পুরুষের মধ্যে প্রতিবন্ধীর হার বেশি। প্রতি হাজারে পুরুষ ৯.৭ জন এবং মহিলা ৮.২ জন।
মাতৃমৃত্যুর হার : মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে। বর্তমানে মাতৃমৃত্যুর হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ, যা ২০১২ সালে ছিল ২ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ। শিশুমৃত্যুর হারও কমেছে। শিশুমৃত্যুর হার (১ বছরের নিচে) ২০০৯ সালে ছিল ৩৯ প্রতিহাজার জীবিত জন্মের ক্ষেত্রে এবং এই হার ২০১৩ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ৩২-এ।
স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানার ব্যবহার : মানুষের মধ্যে টয়লেট ব্যবহারের হার বেড়েছে। স্যানিটারি পায়খানা ব্যবহারের হার দাঁড়িয়েছে ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ, যা ২০১২ সালে ছিল ৬৩ দশমিক ৮ শতাংশ।
শিক্ষার হার : দেশে বেড়েছে শিক্ষার হার। প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে শিক্ষার হার (১৫ বছর বা তদূর্ধ্ব মানুষ) মোট ৬১ শতাংশ, ২০০৯ সালে ছিল ৫৮ দশমিক চার শতাংশ। পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, পুরুষের ক্ষেত্রে সাক্ষরতার হার দাঁড়িয়েছে ৬৫ দশমিক এক শতাংশ এবং নারীদের ক্ষেত্রে সাক্ষরতার হার ৫৬ দশমিক নয় শতাংশ। এক্ষেত্রে এখনো নারীরা পিছিয়ে রয়েছে। এ ছাড়া দেশে বয়স্ক শিক্ষার হার বেড়েছে। ২০০৯ সালে যা ছিল ৫৬.৭ ভাগ এবং এ হার ২০১৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে শতকরা ৬০ ভাগে।
বিদ্যুৎ ব্যবহার : আলোর উৎস ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেখা যায় দেশে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে শতকরা ৬৬ দশমিক নয় শতাংশ, যা ২০১২ সালে ছিল ৬৫ দশমিক ছয় শতাংশ। ২০১১ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে এ হার ছিল ৬৩ দশমিক ছয় শতাংশ, ৫৪ দশমিক ছয় এবং ৫৪ দশমিক চার শতাংশ। কেরোসিনের আলো ব্যবহার করছে ৩২ দশমিক তিন শতাংশ মানুষ, যা ২০১২ সালে ছিল ৩৩ দশমিক এক শতাংশ। অন্যদিকে সৌর বিদ্যুৎসহ অন্যান্য উৎস থেকে আলো ব্যবহার করছে শূন্য দশমিক আট শতাংশ মানুষ।
নির্ভরশীল মানুষের হার : বাংলাদেশে নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা কমেছে। বর্তমানে জাতীয়ভাবে শতকরা ৫৫ জন মানুষ নির্ভরশীল (শিশু, প্রতিবন্ধী, বেকার ইত্যাদি)। যা ২০১২ সালে ছিল ৫৬ শতাংশ, তার আগের তিন বছরে এ হার ছিল পর্যায়ক্রমে ৫৭ শতাংশ, ৬৫ শতাংশ এবং ৬৬ শতাংশ। এক্ষেত্রে পল্লি অঞ্চলে নির্ভরশীল মানুষের হার শতকরা ৬০ শতাংশ যা তার আগের বছর ২০১২ সালে ছিল ৬১ শতাংশ এবং শহর এলাকায় এ হার ৪৭ শতাংশ, যা তার আগের বছর ছিল ৪৮ শতাংশ।

সর্বশেষ খবর