বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

লতিফ সিদ্দিকীকে নোটিশ দেবে ইসি

সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিষয়ে সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেবে নির্বাচন কমিশন। ১৩ জুলাই স্পিকারের চিঠি পাওয়ার দিন থেকে ১৪ কর্মদিবসের মধ্যে এ নোটিস দেবে ইসি। গতকাল একজন নির্বাচন কমিশনার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ কথা জানিয়েছেন। এই কমিশনার বলেন, ‘আমরা লতিফ সিদ্দিকী ও আওয়ামী লীগকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেব। এরপর তাদের শুনানিও নেওয়া হবে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ইসির হাতে ১২০ দিন সময় আছে। তবে কমিশন ঈদের পরে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’
এদিকে গতকাল দুপুরে লতিফ সিদ্দিকীর বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আইনের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করছে ইসি সচিবালয়। বিষয়টি কমিশন সভায় উপস্থাপন করা হবে। এ ক্ষেত্রে ঈদের আগে সম্ভব কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঈদের আগে মাত্র এক দিন আছে। এদিকে লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য নির্বাচন কমিশনকে সোমবার চিঠি দেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। ইসির আইন শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংসদের চিঠি পেয়েই সংসদ সদস্য পদ বাতিলের ক্ষেত্রে আগের নজিরের বিষয়ে ফাইলগুলো কমিশনে উপস্থাপনার প্রক্রিয়া চলছে। কেন তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল করা হবে না, মর্মে ১৪ কর্মদিবসের মধ্যে লতিফ সিদ্দিকীকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হবে। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগকে নোটিস করবে ইসি। পরে তাদের বক্তব্য শুনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইসি। সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সংবিধানের ৬৬(২) ও ৭০ অনুচ্ছেদ ও সংসদীয় কার্যপ্রণালি বিধির ১৭৮ অনুচ্ছেদ অনুসরণ করেছে সংসদ সচিবালয়। মেম্বার অব পার্লামেন্ট (ডিটারমিনেশন অব ডিসপিউট) অ্যাক্ট অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনে লতিফ সিদ্দিকীর বিষয়ে মতামত চেয়ে সংসদ এ চিঠি দিয়েছে। সংসদীয় কার্যপ্রণালি বিধির ১৭৮ অনুচ্ছেদে নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ এবং আসন শূন্য হওয়া সংক্রান্ত ১ দফায় বলা আছে, নির্বাচনের পর কোনো সদস্য সম্বন্ধে যদি এমন বিরোধ দেখা যায় যে, ৬৬ অনুচ্ছেদের (২) দফায় বর্ণিত অযোগ্যতাগুলোর কোন একটি কারণে তিনি অযোগ্য বিবেচিত হইবেন কিনা, অথবা সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাঁহার আসন শূন্য হইবে কিনা, তাহা হইলে স্পিকার উক্ত বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করিবেন। দফা (২) এ বলা আছে, যদি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত এই হয় যে, উক্ত সদস্য অযোগ্য হইয়াছেন, অথবা তাঁহার আসন শূন্য করা উচিত, তাহা হাইলে তিনি আর সদস্য থাকিবেন না।

সর্বশেষ খবর