সোমবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা

জামায়াত চুপচাপ জাপা আশাবাদী

গাজীপুর জেলার রাজনীতিতে ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিক দলের অন্যতম এরশাদ সমর্থিত জাতীয় পার্টিরও তেমন কার্যক্রম নেই। জেলা জাতীয় পার্টির কার্যক্রম পরিচালিত হতো এরশাদের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) কাজী মাহমুদ হাসানকে কেন্দ্র করে। পরে নবগঠিত গাজীপুর মহানগর কমিটির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ তার মৃত্যুর পর ২০ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে কাজী সাজেদ হাসান শুভকে সভাপতি ও আসাদ সিদ্দিকীকে সাধারণ সম্পাদক করে জাতীয় পার্টির গাজীপুর মহানগর কমিটি গঠিত হয়। ওইদিনই (২০ ফেব্রুয়ারি) মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামকে সভাপতি ও মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফাকে সাধারণ সম্পাদক করে গাজীপুর জেলা জাতীয় পার্টির কমিটি গঠন করা হয়। গাজীপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ম. মনোয়ার হোসেন বলেন, জাতীয় পার্টি আগামীতে আরও সুসংগঠিত, চাঙ্গা, সুশৃঙ্খল ও শ্রেষ্ঠ দলে পরিণত হবে। তিনি আরও বলেন, জনগণের সেবায় ও জনকল্যাণে জাতীয় পার্টি আবার সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। একইভাবে ২০-দলীয় জোটের শরিক দল জামায়াতের প্রকাশ্যে দেখা মিলছে না। নাশকতার মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় জর্জরিত হয়ে গ্রেফতার ও পুলিশ আতঙ্কে দলীয় কার্যক্রম চালাতে প্রকাশ্যে মাঠে নামতে পারছেন না নেতা-কর্মীরা। মাঝে-মধ্যে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে মিছিল-মিটিং চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। তাছাড়া দলটির ভাবাদর্শের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যানারে নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নেতা-কর্মীদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন তারা। দেশব্যাপী জামায়াত-শিবিরের নাশকতা চলাকালে তাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৩০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে সহস্রাধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। জামায়াতের জেলা আমির আবুল হাসেম ও গাজীপুর মহানগর সেক্রেটারি খাইরুল হাসানসহ জেলার কমপক্ষে ৮০ জন বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতা বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। প্রকাশ্যে কোনো নেতাকে না পাওয়ার ব্যাপারে জামায়াতের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বাম দলগুলোর মধ্যে সিপিবি, ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদ ও জাসদ নিজেদের অবস্থান জানান দিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির পাশাপাশি মাঝে-মধ্যে জাতীয় নানা ইস্যুতে মিছিল-মিটিং করছে। সিপিবির গাজীপুর জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুল্লাহ বাদল বলেন, বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বামপন্থী দলগুলোর যথেষ্ট পরিমাণে কর্মকাণ্ড পরিচালনার সুযোগ থাকলেও যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারেনি। সিপিবির গণসংগঠন হিসেবে পরিচিত ছাত্র ইউনিয়ন, আদিবাসী ইউনিয়ন ও গার্মেন্ট শ্রমিকদের সংগঠনগুলো নিয়মিত কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছে। গার্মেন্ট শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনে সিপিবি নেতাদের নামে প্রায় ১০টি মামলা চলমান রয়েছে।

সর্বশেষ খবর