শিরোনাম
সোমবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা

জাতিসংঘে দাদাগিরি খর্বে ৪৪ দেশের সঙ্গে বাংলাদেশও

সারা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৭ ভাগের প্রতিনিধিত্বকারী যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে বিশ্বের ৯৩ ভাগ জনগোষ্ঠীকে। এ অবস্থায় জাতিসংঘ মহাসচিব নির্বাচনের (?) ৬৯ বছর ধরে চলে আসা প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে ৪৪ দেশের জোট গড়ে তোলা হয়েছে। পাঁচ দেশের দাদাগিরির বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা এ জোটে বাংলাদেশও রয়েছে। খবর এনআরবি নিউজ।
আগামী বছরের ডিসেম্বরে বর্তমান মহাসচিব বান-কি মুনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন মহাসচিব নির্বাচন নিয়েও ৪৪ দেশের জোট ব্যাপক আলোচনা-পর্যালোচনা শুরু করেছে। এই জোটের সবাই নতুন মহাসচিব হিসেবে একজন নারীকে দেখতে চাইছেন। এ নিয়ে গত ২২ আগস্ট নিউইয়র্ক টাইমসে বিশেষ একটি প্রতিবেদন ছাড়াও সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছে। এতে নানা প্রতিক্রিয়ার বর্ণনা দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, সবারই প্রত্যাশা, নারীর ক্ষমতায়নের স্লোগানের পরিপূরক জাতিসংঘের পরবর্তী মহাসচিব যেন একজন মহিলাকেই করা হয়। কারণ এ যাবৎকালের ৮ জন মহাসচিবের সবাই ছিলেন পুরুষ।
মহাসচিব পদে নারী নির্বাচিত করার জন্য কলম্বিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মারিয়া ইমা মেজিয়ার নেতৃত্বে ৪৪ দেশের জোটে বাংলাদেশ সরব অবস্থানে রয়েছে। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ  কে এ মোমেন ২২ আগস্ট রাতে বলেন, আলোর নিচে অন্ধকারের মতো। জাতিসংঘ সারা বিশ্বের গণতন্ত্র নিয়ে সরব। অথচ এই জাতিসংঘের মহাসচিব নির্বাচনের নামে গত ৬৯ বছর থেকেই প্রহসন চলে আসছে। সেটি আর চলতে দেওয়া যায় না বলেই মহাসচিব নির্বাচনের নামে পাঁচ রাষ্ট্রের দাদাগিরি বন্ধের জন্য আমরা গত ৫-৬ বছর যাবৎ বিভিন্ন ফোরামে বক্তব্য রেখেছি। রাষ্ট্রদূত মোমেন আরও বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা রয়েছে জাতিসংঘে। সে আলোকে কলম্বিয়ার রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে আমরাও সোচ্চার রয়েছি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় মহাসচিব নির্বাচনের জন্য। ইতিমধ্যে বিশ্ববরেণ্য কয়েকজন নারীর নামও প্রকাশিত হয়েছে মহাসচিব হিসেবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং নারীর উন্নয়নে অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালনকারী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নামও সে তালিকায় আসতে পারে। এটিও সময়ের দাবি।

সর্বশেষ খবর