সোমবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা
আলোচনা সভায় বক্তারা

বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত

বিদ্যুৎ খাতে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত। জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনে সরকার কয়লা আমদানি করবে। গ্যাসের বিকল্প হিসেবে প্রাকৃতিক তরলীকৃত গ্যাস (এলএনজি) আমদানির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এলএনজি টার্মিনাল করা হচ্ছে। সিএনজি কীভাবে শিল্পে দেওয়া যায় তা নিয়ে মন্ত্রণালয় ভাবছে। তবে ভবিষ্যৎ জ্বালানি যেমন- গ্যাসের মজুদ দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। আর দেরিতে হলেও সরকার কয়লা উত্তোলনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে, যা ইতিবাচক। গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে পাক্ষিক ‘এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার’-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘জ্বালানি চ্যালেঞ্জেস-২০৩০’ শীর্ষক আলোচনা সভায় জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টরা এসব কথা বলেন।
‘এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার’ সম্পাদক মোল্লা আমজাদ হোসেইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, আমরা আমাদের সমস্যা চিহ্নিত করে যথাসময়ে তা নিরসনে সচেষ্ট রয়েছি। ২০৩০ সালে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। এ জন্য সময় মতো প্রাথমিক জ্বালানি সরবরাহই মূল চ্যালেঞ্জ। তিনি আরও জানান, এ মুহূর্তে নতুন ক্ষেত্র থেকে দেশীয় কয়লা উত্তোলনের সম্ভাবনা না থাকলেও বিদ্যমান কয়লার উত্তোলন প্রক্রিয়া উন্নততর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাওয়ার সেক্টরে এমআইএস করার জন্য পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন-চার বছরের মধ্যে পাওয়ার সেক্টর পুরোপুরি ডিজিটালাইজড হবে। আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা দ্রুত ও কম মূল্যে বিদ্যুৎ পেতে পারি। এ ছাড়া সরকার বিদ্যুতের দাম পুনর্বিবেচনা করার কথা ভাবছে। এ জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তাবও দিয়েছি। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. ম তামিম বলেন, আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে গ্যাসের উৎপাদন কমতে থাকবে। গ্যাস থাকলেও কূপের চাপ কমে যাওয়ায় উৎপাদনও কমে যাবে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, দেশে কয়লা উত্তোলন এখন টেকনিক্যাল বা ইকোনমিক ইস্যু নয়, পুরোপুরি রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। তবে দেরিতে হলেও সরকার এখন কয়লা উত্তোলনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান এ আর খান। অনুষ্ঠানে অন্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার-এর কন্ট্রিবিউটিং এডিটর ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার আবদুস সালেক, বিদ্যুৎ বিভাগের পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হুমায়ূন রশিদ প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর