বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

গ্রামজুড়ে কিচিরমিচির সংগীত

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

গ্রামজুড়ে কিচিরমিচির সংগীত

গ্রামের নাম বড়ইয়া কৃষ্ণপুর। বাংলাদেশের অন্য ১০টি গ্রামের মতো এখানেও আছে নানা জাতের গাছ। তবে ব্যতিক্রম হলো এ গ্রামের গাছে পাখির কিচিরমিচির সুরের সংগীত শোনা যায় দিন-রাত। সন্ধ্যা নামলে পাখির শব্দে চারদিক আরও বেশি মুখর হয়ে উঠে। এ সময় ভেসে আসে যেন অন্যরকম এক সুরের মূর্ছনা। এ গ্রামের মধ্যে বেশি পাখির আবাস মৃত হাবিবুর রহমানের বাড়িতে। এ বাড়ির পাশের রেনট্রি কড়ই, জাম, বাঁশ বাগান সব খানেই পাখির নিরাপদ উপযুক্ত আবাস। কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার বড়ইয়া কৃষ্ণপুর গ্রামের ওই বাড়িতে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উঁচু রেনট্রি কড়ই গাছের পাতায় পাতায় পাখির অবস্থান। বেশি দেখা মেলে পানকৌড়ি, বক, শালিক ও বাদুড়ের। গাছে বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্তভাবে গোল গোল পাখির বাসা। এ যেন শিল্পীর হাতে গড়া কোনো এক ছবি। ক্যামেরায় এসব সৌন্দর্য ধরা না পড়লেও দর্শনার্থীর চোখে ঠিকই ধরা পড়ে। তাই চারপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ এবং এসব গ্রামে বেড়াতে আসা অতিথিরা আগ্রহ নিয়ে এখানে উপভোগ করতে আসেন বৈচিত্র্যময় পাখির সৌন্দর্য। হাবিবুর রহমানের স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা বলেন, ৮-১০ বছর ধরে এখানে পাখিগুলো অবস্থান করছে। গত কয়েক মাসে পাখির সংখ্যা বেড়েছে। সকালে মা পাখি মাছ বা খাবার বাসায় এনে তার বাচ্চাকে খাওয়ানোর দৃশ্য বড়ই আকর্ষণীয়। তিনি অভিযোগের সুরে জানান, অনেক দুষ্ট ছেলে পাখির বাসা ও বাচ্চা নষ্ট করে। এতে পাখিদের মনের যন্ত্রণা বুঝতে পেরে আমাদেরও ব্যথিত করে। তবে লোকবল না থাকায় তাদের বাধাও দিতে পারি না। চান্দিনা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চৌধুরী বলেন, বড়ইয়া কৃষ্ণপুর গ্রামে ব্যাপক পাখির উপস্থিতির কথা শুনেছি। পাখির আবাসস্থল কেউ যেন নষ্ট না করে সে জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে তদারকি করতে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর