রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বাঙালি জাতি অসাম্প্রদায়িক ও আলোকিত এক ঐতিহ্যের গর্বিত অংশীদার। এ ঐতিহ্য আমাদের মনে আলোকবর্তিকা হয়ে কাজ করে। দুর্গাপূজা কিংবা অন্যান্য পার্বণ বাংলার শাশ্বত ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির গভীর থেকে উৎসারিত, তাই এসব উৎসব কখনো ধর্মের গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকেনি। ধর্ম সম্প্রদায়ের, কিন্তু উৎসব সার্বজনীন। ঐক্যবোধ আর ধর্মনিরপেক্ষতা এ দেশের মানুষের ধর্ম। গতকাল শারদীয় দুর্গোৎসবের বিজয়া দশমীতে বঙ্গভবনে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পূজার শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আবদুল হামিদ বলেন, আবহমানকাল ধরে এ দেশের হিন্দু সম্প্রদায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে নানা উপাচার ও অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুর্গাপূজা পালন করে আসছে। সমাজে অন্যায়, অশুভ ও অসুর শক্তি দমনের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ পূজা হয়। দুর্গাপূজা সব ধর্ম-বর্ণ-গোত্রের জন্য সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বয়ে আনবে। তিনি বলেন, আবহমান বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি এবং ধর্মের মূলবাণী আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে উদ্বুদ্ধ করুক- এ প্রত্যাশা করি। এ সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুণœ রেখে জাতীয় উন্নয়নে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ, নেপালের রাষ্ট্রদূত হরিকুমার শ্রেষ্ঠ, রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ স্বামী ধ্রুবেশানন্দ মহারাজসহ হিন্দু ধর্মীয় নেতা এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায় ও চিকিৎসক অরূপ রতন চৌধুরীও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন ধর্মমন্ত্রী প্রিন্সিপ্যাল মতিউর রহমান।