শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

কুয়াকাটা সৈকত নানা বয়সী পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। দেখা দিয়েছে হোটেল-মোটেলগুলোতে সিট সংকট। রেস্তোরাঁসহ পর্যটনমুখী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কেনাবেচায় ধুম পড়ে গেছে। রাখাইন মার্কেট, বৌদ্ধ মন্দিরসহ ওখানকার দর্শনীয় স্পটগুলোতে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। অনেকেই শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটি কাটাতে এখানে এসেছেন। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও নৌ-পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।

গতকাল সকালে কুয়াকাটা সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে নেচে গেয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছে বিভিন্ন বয়সের শত শত পর্যটক। অনেকে হোটেলে সিট না পেয়ে গাড়িতেই অবস্থান করছেন। তবে নিম্নমানের আবাসিক হোটেল মালিকরা ভিড়কে পুঁজি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন। এ ছাড়া খাবার হোটেলগুলোতে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হচ্ছে বলে একাধিক পর্যটকের অভিযোগ রয়েছে। শাহ আলী দম্পতি কুয়াকাটায় ভ্রমণে এসে জানান, পর্যটকদের জন্য এটি খুব সুন্দর স্থান। গত দুই দিন ধরে হোটেলে সিটের জন্য চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তাই বাধ্য হয়ে কলাপাড়া পৌর শহরের একটি আবাসিক হোটেলে উঠেছি। তবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই কুয়াকাটার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান দেখে ভালোই লেগেছে। অভিজাত আবাসিক হোটেল নিলাঞ্জনার ব্যবস্থাপক সৈয়দ মোস্তফা হাবিব জানান, পর্যটকদের প্রচুর চাপ রয়েছে। আমাদের হোটেলে কোনো রুম খালি নাই। এ অবস্থা আরও তিন-চার দিন থাকবে বলে তিনি জানান। কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওর্নাস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, কুয়াকাটার সব হোটেল-মোটেল অগ্রিম বুকিং হয়ে আছে। যারা বুকিং ছাড়া এসেছেন সিট পাচ্ছে না বলে তিনি জানান। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের ইনচার্জ সিনিয়র এএসপি মীর ফসিউর রহমান জানান, পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণের জন্য ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন দর্শনীয় পয়েন্টে আমাদের পাশাপাশি নৌ-পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে।

সর্বশেষ খবর