শিরোনাম
রবিবার, ১ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
ঘরোয়ার কর্মচারী হত্যা

ধরা পড়েনি সোহেল উদ্ধার হয়নি পিস্তল

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মতিঝিলে ঘরোয়া হোটেলের মালিক আরিফুল ইসলাম সোহেলকে ধরতে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। ইতিমধ্যে তাকে ধরতে একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। কিন্তু গত চারদিনেও কোনো ফল আসেনি। এমনকি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সোহেলের পিস্তল ও পাজেরো গাড়িটি জব্দ করতে পারেনি। এর আগে সোহেলের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ডিএমপি। গতকাল সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হোটেল কর্মচারী কিশোর রিয়াদের খুনি সোহেলকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও তার ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে একাধিক সংগঠন। এতে উন্নয়ন সংগঠন ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন (ইপসা), সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান (সুপ্র), ওয়ার্ক ফর বেটার বাংলাদেশ ট্রাষ্ট, বাংলাদেশ হোটেল ও রেস্তোরাঁ শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ হোটেল ও রেস্তোরাঁ শ্রমিক জোট, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (সুদিন) এবং ঢাকাস্থ চাঁদপুরবাসীসহ সাধারণ মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বক্তারা রিয়াদ হত্যাকাণ্ডের চারদিন পার হলেও খুনি সোহেলকে গ্রেফতার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং পুলিশের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তারা বলেন, খুনি সোহেল গ্রেফতার না হওয়ায় ‘পুলিশ আমার পকেটে’ বলে সে যে দম্ভোক্তি করেছিল তাই সত্যি প্রমাণ হতে চলেছে। তারা সোহেলকে গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার আইনে বিচারের ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, রিয়াদ খুনের এজাহারভুক্ত আসামি জসিমউদ্দিনকে রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হত্যায় ব্যবহƒত পিস্তল ও পাজেরো গাড়ি জব্দের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া হোটেল মালিক সোহেলকে ধরতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। পুলিশ জানায়, চুরির অভিযোগে ঘরোয়া হোটেলের মালিক সোহেল নিজেই তার কর্মচারী রিয়াদকে গুলি করে হত্যা করেন। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ছিনতাইকারীর গুলিতে রিয়াদ নিহত হয়েছে বলে ফিল্মি গল্প তৈরি করতে অন্য কর্মীদের শিখিয়ে দেন সোহেল। নিহত রিয়াদ ও তার সহকর্মীরা স্বামীবাগের ৭৩ নম্বর মিতালী স্কুল গলির একটি নির্মাণাধীন বাড়ির দ্বিতীয় তলায় থাকত। সেখানেই গত মঙ্গলবার রাতে রিয়াদকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

সর্বশেষ খবর