শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
মা ন ব তা

নওগাঁয় বিকালে রোগী দেখেন চিকিৎসকরা

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

নওগাঁর মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আউটডোরে নবীন চিকিৎসকরা প্রায় আট মাস আগে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালু করেন। এর দেখাদেখি চার মাস পর আগস্টে জেলার বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও একইভাবে শুরু করা হয় নতুন এই সেবা কার্যক্রম। ওই দুটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ইতিমধ্যে প্রায় ১০ হাজার রোগীকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন তারা। বৈকালিক এ উদ্যোগ সামনে নিয়ে ২৬ জুলাই স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিকের সভাপতিত্বে এক উচ্চপর‌্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, দেশের সব সরকারি হাসপাতালে বহির্বিভাগে সকালের মতো বিকালেও চিকিৎসাসেবা চালু করতে হবে। তবে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবার সিদ্ধান্ত হলেও গত তিন মাসে দেশের আর কোথাও তা চালু করা হয়নি। এদিকে জেলায় স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য বেসরকারি একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে নওগাঁর সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম মোজাহার হোসেনকে শেরেবাংলা পদকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নওগাঁর সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম মোজাহার হোসেনের নেতৃত্বে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত নবীন চিকিৎসকদের নিয়ে ২৬ মার্চ জেলার মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে বৈকালিক চিকিৎসাসেবা চালু করা হয়। এ পর্যন্ত ওই কেন্দ্রে আট হাজার ৮০০ রোগীকে সেবা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি রয়েছেন নারী। একই সঙ্গে এসব রোগীকে আলট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি, এক্সরে ও প্যাথলজি সেবাও দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ওই উপজেলার ৪৮টি কমিউনিটি ক্লিনিকের পাঁচটিতে ১৯ জন নারীর নরমাল ডেলিভারি করানো হয়। একইভাবে ১৬ আগস্ট বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চালু করা হয় বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা। এ পর্যন্ত ওই কেন্দ্রে ৭০০ রোগীকে সেবা দেওয়া হয়েছে। এখানেও অর্ধেকের বেশি নারী রয়েছেন। ওই সব এলাকার কৃষক, শ্রমজীবী পুরুষ ও নারীরা দিনের প্রথম ভাগে হাসপাতালে এসে চিকিৎসাসেবা নিতে পারতেন না। এ সেবা চালু হওয়ার পর ওই সব রোগী এখন চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন। মান্দা উপজেলায় যেসব চিকিৎসক বৈকালিক বহির্বিভাগের দায়িত্ব পালন করছেন, তারা হলেন মেডিকেল অফিসার ডা. এ এস এম ফাতেহ আকরাম, ডা. মো. সামিউল আলম, ডা. সঙ্গীতা মুখার্জি, ডা. ডি এইচ এম ফজলে রাব্বী, ডা. আল মাসুদ, মো. মিজানুর রহমান, ডা. অনিক মুহরী, ডা. ভাস্কর চন্দ্র মণ্ডল, ডা. সাবরিনা সাফাত, ডা. তানজিনা বিনতে মোসাদ্দেক, ডা. কলি রানী সরকার এবং বদলগাছী উপজেলায় ডা. বিজয় কুমার রায়, ডা. রুবিনা খাতুন, ডা. আরিফুজ্জামান, ডা. মো. আবু জার গাফফার, ডা. উম্মে সালমা, ডা. মো. রুহুল আমিন, ডা. রুখসানা বিনতে আমিন, ডা. নাগিব মাহফুজ খান ও ডা. অনুপ্রণ কুমার পাল। রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হেদায়তুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, এখন পর্যন্ত নওগাঁ ছাড়া দেশের অন্য কোথাও চালু হয়নি এ বৈকালিক চিকিৎসাসেবা। এদিকে নওগাঁয় নবীন চিকিৎসকদের উদ্দেশে শেরেবাংলা পদক উৎসর্গ করার কথা উলে­খ করে সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম মোজাহার হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘এ পদক আমাকে ও আমার নবীন চিকিৎসকদের স্বাস্থ্যসেবায় আরও উৎসাহিত করে তুলেছে।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর