শিরোনাম
শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

স্কুলছাত্রী নাদিরা হত্যাকাণ্ডে এমপির ড্রাইভার আটক

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহে স্কুলছাত্রী নাদিরা আক্তার (১০) হত্যার ঘটনায় ময়মনসিংহ-৯ নান্দাইল আসনের এমপির গাড়িচালক শাহজাহান হাবিব মুন্না ওরফে বিল্লালকে (২২) আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে শহরের সানকিপাড়া এলাকার নিজ বাসায় কৌশলে পুলিশে ধরিয়ে দেন এমপি আনোয়ারুল আবেদিন তুহিনের স্ত্রী। মুন্না নাদিরার ফুফাতো ভাই বলেও জানা গেছে।

এ বিষয়ে নান্দাইল আসনের এমপি আনোয়ারুল আবেদিন তুহিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ সুপারের ফোনে আমি জানতে পারি আমার গাড়ি চালকই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তখন আমি নান্দাইলে অবস্থান করছিলাম। বিষয়টি জানতে পেরে আমার স্ত্রীকে দিয়ে মুন্নাকে কৌশলে আমার শহরের বাসায় ডেকে আনা হয়। পরে খবর দিলে পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে জাতীয় সংসদের স্টিকারযুক্ত আমার একটি প্রাইভেটকার ড্রাইভার মুন্না মেরামত করার জন্য গ্যারেজে নেবার কথা বলে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে না নিয়ে সে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডটিতে আমার গাড়ি ব্যবহার করে। আমার ধারণা এ হত্যাকাণ্ড তার একার পক্ষে করা সম্ভব হয়নি।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমারত হোসেন গাজী বলেন, ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী নাদিরা আক্তারকে (১০) বৃহস্পতিবার স্কুল শেষে ফুঁসলিয়ে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় মুন্না। পরে গাড়িতেই নাদিরার শ্বাসনালিতে ছোরা দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে। এ সময় নাদিরার গলা কাটারও চেষ্টা করে ঘাতক মুন্না। একপর‌্যায়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে শহরতলির গন্ডফার বাইপাস এলাকার ইটাখলার সামনে একটি ধানক্ষেতের পাশে মরদেহ ফেলে দেয়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুন্নাকে শহরের সানকিপাড়া থেকে আটক করা হয়। হত্যার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, নাদিরাকে বিভিন্ন রকমের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল মুন্না। কিন্তু সে রাজি না হওয়ায় এবং জানাজানি হবার ভয়ে তাকে হত্যা করা হয়। এখনো তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, নিহতের বাবা ইউনুছ আলী বাদী হয়ে গতকাল দুপুরে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

সর্বশেষ খবর