রবিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

আজই চূড়ান্ত হচ্ছে বিধিমালা, তফসিল এ সপ্তাহেই

পৌর নির্বাচন

গোলাম রাব্বানী

পৌরসভার সংশোধনী আইনের কপি হাতে পেলে আজই দলীয়ভাবে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় বিধিমালা চূড়ান্ত করবে নির্বাচন কমিশন। এ ক্ষেত্রে আইনের খসড়া কপি নিয়ে আচরণ বিধিসহ অন্যান্য বিধি সংশোধনের কাজ অনেকটা এগিয়ে রেখেছে এ প্রতিষ্ঠানটি। এখন শুধুই আনুষ্ঠানিকভাবে বিধি চূড়ান্ত করার পালা। আজ নির্বাচন কমিশনারদের এক জরুরি সভায় এ বিধান চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে। পরে ওই নির্বাচনী বিধিমালা ও আচরণবিধি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করবে ইসি। ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, বিধিমালার গেজেট প্রকাশের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে এক-দুই দিন সময় লাগতে পারে। তবে যেদিন নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে সভায় বসবেন ওইদিনই তফসিলও দেওয়া হতে পারে। কর্মকর্তারা বলেছেন, কমিশনের সভায় তফসিল নিয়ে আলোচনা হবে। এমনকি ইসির ওই সভা শেষেই পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল দেওয়া হতে পারে। তবে আগামী সোমবার বা মঙ্গলবার ইসির আনুষ্ঠানিক সভা আহ্বান করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে তফসিল দিয়ে ইসি ২৮-২৯ ডিসেম্বর সম্ভাব্য ভোট গ্রহণের তারিখ রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে ৩৪-৩৫ দিন হাতে রেখে তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে বলে ইসির একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, ৩১ ডিসেম্বর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইংরেজি বর্ষবরণের নিরাপত্তা নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। তাই এক দিন বা দুই দিন আগে নির্বাচন শেষ করতে চায় ইসি। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে পৌরসভা নির্বাচন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এখন শুধু তফসিলের অপেক্ষা। যত দ্রুত সম্ভব তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। তফসিল দেওয়ার জোর প্রস্তুতিও চলছে ইসি সচিবালয়ে। গতকাল স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) সংশোধনী বিলে সম্মতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ফলে বিলটি এখন আইনে পরিণত হলো। গতকাল সংসদের গণসংযোগ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এদিকে, ইতিমধ্যে ভোটার তালিকা ও ভোট কেন্দ্র প্রস্তুত করতে ইসির মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দ্রুত সময়ের মধ্যে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল প্রস্তুতির বিষয়ে ইসির কর্মকর্তাদের জন্য একটি চিঠিও প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের অনুমোদন নিয়ে দ্রুত তা মাঠ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হবে। এ ক্ষেত্রে পৌরসভার মতো আগামীতে সিটি, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদে মেয়র ও চেয়ারম্যান পদ শুধু দল ভিত্তিতে করবে ইসি। ইসির কর্মকর্তারা বলেছেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। এ ছাড়া নির্দলীয়ভাবে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য একটি নোট তৈরি করে রাখা হয়েছে। তফসিল ঘোষণা হলেও ইসির নির্দেশ নিয়ে বিজি প্রেসে তা পাঠিয়ে দেবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। ইসি কর্মকর্তারা জানান, দেশের ২৪০টিরও বেশি নির্বাচন উপযোগী পৌরসভার মেয়াদ পূর্ণ হবে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে। হালনাগাদ খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ২ জানুয়ারি, যা ৩১ জানুয়ারির মধ্যে চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন। ফেব্রুয়ারিতে শুরু হবে এসএসসি পরীক্ষা, তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ভোট কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ থাকবে না। এসব কারণে বিদ্যমান ভোটার তালিকায় ডিসেম্বরই পৌর ভোটের উপযুক্ত সময় বলে মনে করছেন ইসি কর্মকর্তারা।

পৌরসভা নির্বাচন বিলসহ পাঁচটি বিলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন : পৌরসভা নির্বাচন বিলসহ পাঁচটি বিলে সম্মতি স্বাক্ষর দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ফলে বিলগুলো এখন আইনে পরিণত হল। জাতীয় সংসদের চলমান অষ্টম অধিবেশনে এ বিলগুলো পাস হয়। জাতীয় সংসদের গণসংযোগ বিভাগ থেকে গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিলগুলো হল, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) বিল, ২০১৫; ট্রেডমার্ক (সংশোধন) বিল, ২০১৫; উন্নয়ন সারচার্জ ও লেভী (আরোপ ও আদায়) বিল, ২০১৫ ; বাংলাদেশ কয়েনজ (এমেন্ডম্যান্ট) বিল, ২০১৫; গণকর্মচারী (বিদেশি নাগরিকের সহিত বিবাহ) বিল ২০১৫।

সর্বশেষ খবর