সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী মাসে খুলে দেওয়া হবে ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনের মহাসড়ক। ফলে চার লেনের মহাসড়ক নির্মাণের সুফল চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকেই দেশের অর্থনীতিতে পড়বে বলে আমি আশা করছি। এ মহাসড়কের সুফল দেশের জনগণ, যাত্রী এবং আমাদের অর্থনীতিতে পড়তে শুরু করবে। এর মাধ্যমে আমাদের কানেকটিভিটি (যোগাযোগব্যবস্থা) অনেক দূর এগিয়ে যাবে। তবে প্রকল্পের শেষ পর্যায়ে এসে পাথর সংকটের কথা জানিয়ে সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ইদানীং (সম্প্রতি) আমরা পাথর সংকট তীব্রভাবে অনুভব করছি। এটি আমাদের কিছুটা সমস্যায় ফেলেছে। আশা করি, শিগগিরই সংকটের সমাধান হয়ে যাবে। গতকাল সকালে রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে জাপানের চার কোম্পানির সঙ্গে মহাসড়কের দ্বিতীয় কাঁচপুর, দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। জাপানের ওবায়শি করপোরেশন, শিমিজু করপোরেশন, জেএফই ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন এবং আইএইচআই ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিস্টেম- এ চার প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এ কাজ করবে। অনুষ্ঠানে জাপানের রাষ্ট্রদূত মিৎসু ওয়ানাবে, সড়ক সচিব এম এ এন সিদ্দিক, সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ফিরোজ ইকবাল, জাইকা প্রতিনিধি মিকি হাতিকা উপস্থিত ছিলেন। চুক্তি স্বাক্ষরের পর এ ঘটনাকে বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগ ও পরিবহনব্যবস্থার জন্য ‘ঐতিহাসিক মাইলফলক’ হিসেবে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ইতিমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ১৯২ কিলোমিটার সড়কের ১৫৮ কিলোমিটার নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। কনক্রিট বেসমেন্ট সম্পন্ন হয়েছে ১৬৮ কিলোমিটার। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কটি আমাদের দেশের অর্থনীতিতে রক্ত সঞ্চালন করে। এ মহাসড়কে এ তিনটি সেতু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যমান সেতু তিনটির পাশে নতুন তিনটি সেতু নির্মাণ, বিদ্যমান সেতুগুলো পুনর্বাসনের কাজও আমরা করব। এর পাশাপাশি কাঁচপুর ইন্টার সেকশনে একটি ফ্লাইওভার নির্মাণ হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের খরচ হিসেবে সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা ধরা হয়েছে, যার মধ্যে জাপান সরকার সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে।